হ্যাকিংয়ে বা কোন ডিভাইস হ্যাক করার জন্য হ্যাকাররা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে। আর এ সুবিশাল উপায়ের মাঝে একটি জনপ্রিয় উপায় হলো কীস্ট্রোক লগিং। এটি জনপ্রিয় কারণ এটি ব্যবহার করে একেতো ব্যবহারকারীর সকল তথ্য চুরি করা যায়, দ্বিতীয়ত যেকোন ছেঁচকা হ্যাকাররাও এটি ব্যবহার করতে পারে। এটিকে সংক্ষিপ্ত আকারে স্মার্টলি কীলগিং বলা হয়ে থাকে।
Related Articles
কীলগিং হলো সিস্টেম মনিটর করার একটি উপায় যেটির সাহায্যে কোন ব্যবহারকারীর কী-বোর্ডের প্রতিটি স্ট্রোক বা এক কথায় যাই টাইপ করবে তাই রেকর্ড করা যায়। মূলত একটি ফাইলে টাইপ করা রেকর্ডগুলো সেইভ করা হয়ে থাকে। আর যেসকল যন্ত্র বা সফটওয়্যার কীলগিং করতে ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে কীলগার বলা হয়। তুমি ফোন কিংবা পিসি ব্যবহারের সময় কত কিছুই না টাইপ করো!! ভেবে দেখো, কীলগার যদি তোমার ডিভাইসে কেউ দেয় তাহলে তোমার টাইপ করা গার্লফ্রেন্ডের মেসেজ থেকে তোমার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ফেসবুক একাউন্টসহ নানা ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ড পর্যন্ত সবকিছুই কিন্তু হ্যাকার পেয়ে যাবে। সাধারণত পিন কোড, অ্যাকাউন্টের নাম, ওয়েবসাইটের লিংক, পাসওয়ার্ড এগুলো টেক্সট হিসেবে .txt ফাইল ফরম্যাটে জমা থাকে। এই ফাইলটি হ্যাকার রিমোট অ্যাক্সেস, এফটিপি সার্ভার ও ইমেইলের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারে। কীলগার ব্যবহার করে হ্যাকাররা প্রায় হাজার হাজর কোটি টাকা চুরি করতে সক্ষম হয়েছে, যাদের ভেতর রয়েছে ব্যাংক ও এটিএম। হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার উভয়টি দিয়েই কীলগিং করা যায়।