Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়

যদি ব্যবসায় শিক্ষা, অর্থনীতি কিংবা ম্যানেজমেন্টে আপনার আগ্রহ থাকে, তাহলে আপনি একজন রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারেন। 

একজন রিটেইল ম্যানেজার মূলত যেকোন পাবলিক অথবা প্রাইভেট কোম্পানি কিংবা যেকোনো রিটেইলস আউটলেট ও স্টোরের ম্যানেজমেন্ট খাতের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। কোম্পানি বা ব্যবসার ম্যানেজমেন্ট, অর্থনৈতিক ও রিসোর্সের কাজ করে থাকেন তিনি।

চলুন জেনে আসি, কীভাবে একজন রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।

রিটেইল ম্যানেজার পদটি আপনার জন্যে উপযুক্ত কি?

একজন রিটেইল ম্যানেজারকে সেলস ম্যানেজার কিংবা রিটেইল সেলস ম্যানেজার হিসেবেও আখ্যায়িত করা যায়। তিনি বিভিন্ন বিভিন্ন কোম্পানির রিসোর্স, ম্যানেজমেন্ট ও অর্থনৈতিক খাতের দেখাশোনা করেন।

একজন রিটেইল ম্যানেজারের বাৎসরিক বেতন ১০ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু এর বিপরীতে আপনাকে অনেক কষ্ট করতে হবে। রিটেইল আউটলেট ও স্টোরের সুপারভিশন, কোম্পানির ক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট, স্টাফ হায়ারিং, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, সেলস এবং স্টকসহ আরো অনেক ধরণের কাজ রয়েছে একজন রিটেইল ম্যানেজারের।

সুতরাং ভেবে দেখুন এই পদে আপনি ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন কিনা। এই পদটি আপনার প্যাশন ও দক্ষতার সাথে কতটুকু উপযুক্ত, তা নিয়েও ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

একজন রিটেইল ম্যানেজারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

একজন রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পূর্বে আপনি, সেলস পার্সন, রিসোর্স ম্যানেজার, আউটলেট সুপারভাইজার, ডিজিটাল মার্কেটার, রিটেইল সেলস ম্যানেজার অথবা কোম্পানি সেক্রেটারির চাকরি দ্বারা ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। উপরোক্ত পদগুলো থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

কোম্পানি ও আউটলেটভেদে একজন রিটেইল ম্যানেজারের কাজ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যদিও বেশিরভাগ কোম্পানিতে বা আউটলেটে, একজন রিটেইল ম্যানেজারকে যেসব কাজ করতে হয়, সেগুলো হচ্ছে,

১. কোম্পানি ও আউটলেটের আইনের সাথে সবসময় আপ টু ডেট থাকা।

২. বাৎসরিক রিপোর্ট তৈরি করা।

৩. বিভিন্ন আউটলেট মিটিং সংঘটিত করা।

৪. আউটলেটের দেখাশোনা করা ও সুশৃঙ্খলভাবে তা সম্পন্ন করার দিকে খেয়াল রাখা।

৫. শেয়ারহোল্ডারদের ও স্টেকহোল্ডারদের দিকে খেয়াল রাখা।

৬. কোম্পানি হাউস ও স্টক এক্সচেঞ্জে কোম্পানির শেয়ারের দিকে খেয়াল রাখা।

৭. অডিটর ও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের কাজের অগ্রগতির দিকে খেয়াল রাখা।

৮. শেয়ার অপশন ও পে-স্কেল মেইনটেনেন্সের দিকে নজর দেওয়া।

৯. স্বাস্থ্য, সুরক্ষা, নিরাপত্তা, প্রোপার্টি এবং জেনারেল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পালন করা।

একজন রিটেইল ম্যানেজারের কিছু সাধারণ দক্ষতা থাকা উচিৎ। সেগুলো হচ্ছে,

১. জটিল বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করার দক্ষতা থাকতে হবে।

২. বিভিন্ন সমস্যায় দ্রুত সমাধান বের করার ক্ষমতা থাকতে হবে।

৩. যেকোনো বিষয়ে আস্থা রাখার মতো মন মানসিকতা থাকতে হবে।

৪. বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক অবস্থায় খাপ খাওয়ানোর দক্ষতা থাকতে হবে।

৫. অসাধারণ যোগাযোগ দক্ষতা থাকতে হবে।

৬. যেকোনো বিষয়ে বিচক্ষণতার সাথে নেগোসিয়েশন করার দক্ষতা থাকতে হবে।

৭. অসাধারণ ইন্টারপার্সোনাল দক্ষতার অধিকারী হতে হবে।

শুরুতে ছোটোখাটো কোম্পানিতে রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করুন

যদি আপনি রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে কোনো কোম্পানি বা স্টোর থেকে ইন্টার্নি করে থাকেন, তাহলে ছোটোখাটো কোম্পানি বা স্টোরে কাজ করার প্রয়োজন পড়বে না। আর যদি আগে কোথাও ইন্টার্নশিপ না করে থাকেন, তাহলে বড় কোম্পানিতে রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার পূর্বে ছোটোখাটো কোম্পানিতে কাজ করুন। এতে অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা দুইই লাভ করতে পারবেন।

রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে বড় কোম্পানিতে চাকরি খুঁজুন

ছোটোখাটো কোম্পানিতে বা আউটলেটে চাকরি করার পর, বড় বড় কোম্পানির দিকে চলে আসুন। তবে খেয়াল রাখবেন, যেন কাজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দুইই বজায় থাকে। অনেক সময়েই দেখা যায়, ছোটোখাটো কোম্পানিতে কাজ করার জন্যে যেসকল দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে, বড় কোম্পানির ক্ষেত্রে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দক্ষতার প্রয়োজন পড়ে। কারণ, বড় কোম্পানিগুলোতে বা আউটলেটে কাজের ক্ষেত্রও বড় হয়।

বড় বড় কোম্পানিগুলোতে বা আউটলেটে কাজ পাওয়ার জন্যে ইনডিড, লিংকডিন, মনস্টার, গ্লাসডোরের মতো ওয়েবসাইটগুলোতে চাকরী খুঁজতে পারেন। এগুলোতে প্রফেশনালি চাকরি খোঁজা যায়।

তবে মনে রাখবেন, বড় কোম্পানিগুলোতে চাকরি পেতে হলে আপনাকে আরো বেশি জানতে হবে। কার্যপদ্ধতি ও কৌশলে আরো পারদর্শী হতে হবে।

বিভিন্ন পেশাদার প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটিতে যোগ দিন

রিটেইল ম্যানেজারদের জন্য অনলাইনে অনেক ধরণের প্রফেশনাল অরগানাইজেশন, কমিউনিটি ও ফোরাম রয়েছে। সেগুলোতে যোগদান করতে পারেন। যদি কখনো কিছু নিয়ে সমস্যায় পড়েন, তাহলে সেসব ফোরাম থেকে সাহায্য পেতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইন ফোরাম এবং কমিউনিটির মিটআপে যোগদান করলেও অনেক শিক্ষা এবং দক্ষতা অর্জন করা যায়।

একজন রিটেইল ম্যানেজারের কী ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে?

একজন রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করার পূর্বে, আপনাকে বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, অর্থনীতি, রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট এবং মার্কেটিংসহ বিভিন্ন খাতের ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের উপর কমপক্ষে ২ থেকে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে।

যে কারণে রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়বেন

প্রযুক্তির এই যুগে রিটেইল ম্যানেজারদের উপর প্রত্যেক কোম্পানি বা স্টোরই নির্ভর করছে। আর তাই, প্রতিনিয়তই কোম্পানিগুলোতে ম্যানেজমেন্ট ও রিসোর্স খাতে বিভিন্ন ধরণের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে, যার মধ্যে সেলস পার্সন, রিটেইল ম্যানেজার, রিটেইল সুপারভাইজার, কোম্পানি সেক্রেটারি ইত্যাদি অন্যতম।

রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়বেন যেসব কারণে,

১. প্রত্যেক কোম্পানিতেই বিভিন্ন কাজের জন্য রিটেইল ম্যানেজারের প্রয়োজন পড়ে।

২. এই খাতে কাজের শেষ নেই।

৩. এই কাজে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন জিনিস শিখতে পারবেন ও নতুন নতুন মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখতে পারবেন।

৪. নিজের ইচ্ছেমতো নিজের কাজকে সাজিয়ে তুলতে পারবেন।

৫. রিটেইল ম্যানেজার ও মার্কেটারদের ফোরামটাই অন্যরকম হয়। তাই কমিউনিটিতেও শেখার অনেক কিছুই থাকছে।

এটা পড়তে ভুলবেন না, ডিজিটাল মার্কেটিং খাতের ক্যারিয়ার!

আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে এবং কাজে আসলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন!

The post রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায় appeared first on Muntasir Mahdi.



This post first appeared on Muntasir Mahdi's Online Journal, please read the originial post: here

Share the post

রিটেইল ম্যানেজার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার উপায়

×

Subscribe to Muntasir Mahdi's Online Journal

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×