ঝাড়গ্রামের মাটিতে সুভাষচন্দ্র বসুর ৮৫ তম পদার্পণ দিবসে তাঁকে শ্রদ্ধা জানালেন তৃণমূল ও বিজেপির দুই প্রার্থীই। ১৯৪০ সালের ১২ মে পরাধীন ভারতের ঝাড়গ্রামে স্বরাজের ডাকে সভা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু।
Related Articles
তখনও তিনি নেতাজি হননি। কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর তৈরি হয়েছে দূরত্ব। এমন আবহে নাড়াজোলের কুমার বাহাদুর দেবেন্দ্রলাল খানের সঙ্গে মোটর গাড়িতে করে ধেড়ুয়া হয়ে ঝাড়গ্রামে এসেছিলেন সুভাষচন্দ্র। এখনকার ঝাড়গ্রাম শহরের দুর্গা ময়দানের তৎকালীন নাম ছিল লালগড় মাঠ। সেই মাঠেই সভা করেছিলেন সুভাষচন্দ্র।
অবিভক্ত মেদিনীপুরে সেটিই ছিল সুভাষচন্দ্রের শেষ সভা। প্রতি বছর এই বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রেখে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে দুর্গা ময়দান ক্লাব কর্তৃপক্ষ। রবিবার সকাল সাড়ে ন’টায় পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নবু গোয়ালা, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লক্ষ্মী সরেন এবং তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পুরপ্রধান কবিতা ঘোষ। সুভাষচন্দ্রের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ ও শাসকদলের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। দুর্গা ময়দান চত্বরটিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগী হবেন বলে জানান কালীপদ। প্রার্থীর উপস্থিতিতে দুর্গা ময়দান ক্লাবের কর্মকর্তা তন্ময় সিংহ জানান, তাঁরা কোনও সরকারি সাহায্য পাননি।
সরকারি উদ্যোগে দুর্গা ময়দানটিকে পর্যটন মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান তন্ময়। সুভাষচন্দ্রের ঝাড়গ্রাম সফরের বিষয়টি দুর্গা ময়দানে সরকারি উদ্যোগে ফলক করার জন্য শাসকদলের প্রার্থী ও জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। কালীপদরা চলে যাওয়ার পর সকাল সোয়া দশটা নাগাদ আসেন বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডু।
তিনি মূর্তিতে মালা দিয়ে জানান, ক্লাব কর্তৃপক্ষের পাশে থাকবেন। ভোটে জিতে সাংসদ হলে সুভাষ-স্মৃতি সংরক্ষণে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হবেন বলেও আশ্বাস দেন প্রণত। এদিন ঝাড়গ্রাম ব্লাড ব্যাঙ্কের সহযোগিতায় ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে ২৭ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন।
The post ঝাড়গ্রামে সুভাষচন্দ্র বসুর ৮৫ তম পদার্পণ দিবসে দুর্গা ময়দানে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন তৃণমূল ও বিজেপি দুই প্রার্থীর first appeared on West Bengal News 24.