Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

কম্পিউটার উৎপত্তি হল কিভাবে ? ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার কি হতে পারে ?জেনে নিন এর আগা গোড়া ইতিহাস !

কম্পিউটার উৎপত্তি হল কিভাবে ? ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার কি হতে পারে ?জেনে নিন এর আগা গোড়া ইতিহাস !

 মোহাম্মাদ রবি 
 0 টিউমেন্টস 2 দেখা প্রিয়

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
কম্পিউটার ইতিহাস :
কালের বিবর্তনে ঘটে যাচ্ছ কত পরিবর্তন। মানুষ নামে এক প্রাণি করে যাচ্ছে কত আবিস্কার আর বদলে যাচ্ছে জীবন ধারন এ চক্র।
মানুষের হাতে তৈরি এমন এক যন্ত্রে আবিস্কার ফলে বদলে গেছে আমাদের জীবন। যেটা ছারা বর্তমান যুগে চলা এক কঠিন বিষয়। সেটি হল কম্পিউটার।
হ্যা এই সেই কম্পিউটার যেটা আমাদের জীবনের গতি পথ বদলে গেছে।
আজ সেই কম্পিউটার নিয়ে ইতিহাস লিখব এর জন্ম থেকে বর্তমান যুগ পর্যন্ত।
কম্পিউটার কী ? এর নাম উৎপত্তি!
কম্পিউট (Compute) শব্দটি থেকেই কম্পিউটার (computer) শব্দ তৈরি হয়েছে। বলা হয়, যে কম্পিউট করে সেই (মানুষ বা যন্ত্রই) কম্পিউটার। ১৩৭৫ থেকে ১৪২৫ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে ‘কম্পিউট‘ (compute) শব্দটির উৎপাত্তি হয়। এই শব্দের প্রাচীন অর্থ হিসাব করা হয়,পরিমাপ করা,গণনা করা ও ধারনা করা ইত্যাদি। সেই হিসাবে যিনি বা যে যন্ত্র গণনা, হিসাব,ধারনা ও পরিমাপ জাতীয় কাজ করে তাকে কম্পিউটার বলা যেতে পারে। এক সময় কম্পিউটার বলতে মানুষ বোঝান হত। পরে ক্যালকুলেটর বা গণনা করার যন্ত্র কম্পিউঠার হিসেবে সমধিক পরিচিত হতে থাকে। তবে বর্তমানে কম্পিউটার আমরা একটি এমন ডিজিটাল যন্ত্রকে বুঝি যা প্রক্রিয়াকরন করতে পারে।
কম্পিউটার হলো “programmable digital electronic device” অন্যভাবে বলা হয়, A computer is a machine that manipulates data according to a list of instructions. বাংলাদেশের কপিরাইট আইনে কম্পিউটারের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এভাবে, “কম্পিউটার অর্থে মেকানিক্যাল, ইলেকট্রোমেকানিক্যাল,ইলেকট্রনিক, ম্যাগনেটিক,ইলেকট্রম্যাগনেটিক,ডিজিটাল বা অপটিক্যাল বা অন্য কোন পদ্ধতির ইমপালস ব্যবহার করিয়া লজিক্যাল বা গানিতিক যে কোনো একটি বা সকল কাজকর্ম সম্পাদন করে এমন তথ্যপ্রক্রিয়াকরন যন্ত্র বা সিস্টেম” কে বোঝায়। সেই কারণে কম্পিউটার কেবল মাত্র গণনা, পরিমাপ বা হিসাব করার যন্ত্র নয়। কম্পিউটার কারর‌্য এখন সকলধরনের কাজ করে বা বা কাজের প্রকিয়া করে।

কম্পিউটারের অতি সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
প্রাচীন গণনাযন্ত্র :  অ্যাবাকাস (Abacus) নামক গণনাযন্ত্রকে কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে  ধরা হয়। অর্থাৎ অ্যাবাকাস কম্পিউটারের ইতিহাস শুরু। অ্যাবাকাসছিল ছিল একটি ফ্রেমে সাজান অনেকগুলো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গণনা করার যন্ত্র। যদিও অ্যাবাকাস কবে আবিষ্কৃত হয়  সঠিকভাবে বলা যায় না। অনেকেই একেম ব্যাবিলনীয় সভ্যতার তৈরি বলে মনে করেন।খ্রিস্ট পূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশর ও চীন দেশে গণনাযন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস যন্ত্র তৈরি করা হয় বলে মনে করা হয়। বর্তমানের ইলেকট্রনিক প্রযুক্তির যুগান্তকারী বিকাশের যুগে চীন,জাপান,রাশিয়া ইত্যাদি দেশে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে, এখনও অ্যাবাকাস যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।ঐতিহ্যের স্বাক্ষর হিসেবে এখনও তারা কয়েক হাজার বছরের পুরনো অ্যাবাকাস যন্ত্রের প্রচলন অব্যাহত রেখেছে। অ্যাবাকাস প্রাচীন সমাজে চাহিদা মেটাতে সক্ষম হলেও মধ্যযুগে এসে গণনা কাজের জন্য আরও উন্নততর যন্ত্রের প্রয়োজনীয় দেখা দেয়। জীবনের প্রয়োজন ও চাহিদার ভিত্তিতে তা এতটাই বদলে যায় যে, স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রেরে প্রয়জন দেখা যায়। গণানার কাজেকে সহজতর করারন লক্ষ্য সামনের রেখে স্কটিশ গণিতবিদ জন নেপিয়ার ১৬১৪ সালে এলগরিদম পদ্ধতির আবিস্কার করেন। এই পদ্ধতিকে নেপিয়ার হাড়ও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতির ব্যবহারে করে জার্মানির উইলিয়াম আউটরেট বৃত্তাকার স্লাইড রুল আবিস্কার করেন।এই পদ্ধতিকে নেপিয়ার হাড়ও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতির ব্যবহারে করে জার্মানির উইলিয়াম আউটরেট বৃত্তাকার স্লাইড রুল আবিস্কার করেন। সেটি ছিল ১৬২২ সাল।এর  পরের বছর উলিয়াম শিকার্ড নামক আরেক জন জার্মান একাধিক অঙ্ক বিষিস্ট সংখ্যার গুন করার জন্য চাকা বা গিয়ার চালিতে একটি যন্ত্র তৈরি করেন। ১৬৪২ সারে ব্লেইজ প্যাস্কাল (Blaise Pascal) নামের এক ফরাসী যুবক্ এই যান্ত্রিক গণনা যন্ত্রটি গণনা তৈরি করেন। এই যন্ত্রটির নাম ছিল প্যাস্কালেন। পরবর্তী তার সামনে কম্পিউটারের একটি আধুনিক প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা (programming Language)-এর নাম দেওয়া হয়েছে প্যাস্কাল (Pascal)
কম্পিউটারের প্রাথমিক যুগ: প্যাস্কালের পরে ১৬৭১ সালে এক জার্মানি গনিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ (Gottafried Von  Leibniz)প্যাস্কালে যন্রের ভিত্তিক আরও উন্নত যান্ত্রিক গণনাযন্ত্র তৈরি করেন।
চার্লস ব্যাবেজ
তার এই যন্ত্রের সাহায্যে যোগ,বিয়োগ,গুন,ভাগ এবং উৎপাদক নির্ণয় করা যেত। তিনিই প্রথম পুনঃপুন যোগের মাধ্যমে গুণ করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। স্টেপও রেকোনার নামের এই যন্ত্রটি তৈরি প্রায় একশ বছর পর ১৭৮৬ সালে জোহান হেলফ্লিক মুলার একটি গণনা যন্ত্রের ধারণা উপস্থাপন করেন। ১৮০১ সালে ফ্রান্সের জোসেফ মেরি জেকা্র্ড পাঞ্চকা্র্ড ব্যবহার শুরু করেন। বর্তমান কম্পিউটারের অভিধারণা বিশিষ্ট স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র তৈরির চেস্টা করেন অধ্যাপক চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) ১৮০১ সালে। তিনি তার প্রস্তাবিত  যন্ত্রের নাম ঘোষণা করেন ‘অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন’ (Analytical Engine)। চার্লস ব্যাবেজ তাঁর সময়ের একজন শীর্ষস্থানীয় গণিতবিদ হিসেবে খ্যাত ছিলেন। ১৮২৮ সালে তিনি ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকাসিয়াম অধ্যাপকের সম্মান লাভ করেছিলেন বিজ্ঞানী নিউটন। কিছুটা রগচটা মেজাজের মানুষ ব্যাবেজ তার জীবনের অধিকাংশ  সময় ব্যয় করেছেন তখনকার জন্য অবিশ্বাস্য রকম জটিল যন্ত্র তৈরি চেষ্টায়। তিনি এমন একটি যন্ত্রের কথা চিন্তা করেছিলেন, যে যন্ত্রের পাঞ্চকার্ডের সাহায্যে ইনপুট প্রদান করা হবে। ইনপুট ধারণের জন্ত্রটিতে থাকবে স্মৃতির ব্যবস্থা, প্রক্রিয়াকরনের জন্য গাণিতিক অংশ বা মিল (Mill)এবং স্বয়ংক্রিয় আউটপুট মুদ্রণের ব্যবস্থা। প্রক্রিয়াকরণের কাজ পরিচালনার জন্য থাকবে পর্যায়ক্রমিক প্রোগ্রাম নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। সমসাময়িক বিজ্ঞানীরা তার চিন্তাকে ‘ব্যাবেজের মূর্খতা’ বলে উপহাস করতেন। প্রকৃতপক্ষে চার্লস ব্যাবেজের চিন্তা ছিল শত বছরের আগাম চিন্তা। অর্থাৎ চার্লস ব্যাবেজ চিন্তার একশ বছর পর কম্পিউটার যে পর্যায়ে উপনীত হয়, সেইরুপ কম্পিউটারের চিন্তা তিনি একশ বছর আগে করেছিলেন। ১৮৩৩ সালে তার পরিকল্পিত ‘অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন’-এর ধারণাকে আধুনিক কম্পিউারের সূত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এজন্য
‘অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন’
চার্লস ব্যাবেজকে কম্পিউটারের জনক হিসেবেও অভিহিত করা হয়। চার্লস ব্যাবেজের পরিকল্পিত অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের নক্সা প্রণয়নের ব্যাপারে তাকে সর্বতোভাবে সাহায্য করেন ঐ সময়ের আর একজন খ্যাতিমান গণিতবিত, বিখ্যাত ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা, লেডি এডা (Lady Augusta Ada Lovelace)। তাকেই বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে উল্লেখ করা হয়।তার সম্মানের জন্য ১৯৮০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরকক্ষা মন্ত্রণালয় একটি আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজর নাম প্রদান করে এডা(Ada)।চার্লস ব্যাবেজের যন্ত্রতি বাস্তব রূপ পায়নি। তাতে যে সরকারি সহায়তা দেওয়া হত সময়মতো কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় তাও এক সময়ে বন্ধ করে দেওযা হয়। কিন্তু চার্লস ব্যাবেজের পিতার ধারণা অনুযায়ী একটি অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন তৈরি করেন। ১৮৭১ সালে চার্লস ব্যাবেজের পরলোকগমনের পর থেকে ১৯৩৭ সাল প্রযন্ত প্রায় পৌনে এক শতাব্দী কম্পিউটারের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বলতে গেলে থেমে থাকে। এ সময়ে পাঞ্চকার্ড দিয়েই উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ চলেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে  যে,এই সময় কালে যেসব যন্ত্র প্রচলিত হয তার মাঝে রয়েছে ১৮৮৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ডর ফেন্ট-এর কম্পোসিটার, ১৯৮৮ সালে প্রচলিত উইলিয়াম বারোস- এর অ্যাডিং এন্ড লিস্টিং মেশিন ইত্যাদি।

ই্লেকট্রো মেকানিক্যাল যুগ : ১৮৮৫ সালেও আমেরিকায় উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ করা হত কলাম, পেন্সিল ও বুলালের সাহায্যে। কিন্তু ঐ সময় উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। হাতে-কলমে উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল প্রায় ভুল ধরা পড়ত এবং কাজের সময়ও লাগত অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,আমেরিকার ১৮৮০ সা সালের শুমারি (Census)শেষ করতে করতে প্রায় ১৮৯০ সালের শুমারির কাজ শুরু করার সময় পর্যন্ত গড়িয়েছিল। তবে সৌভাগ্যের বিষয়, একই সময় উপাত্ত প্রাক্রিয়াকরণের জন্য উন্নতমানের ও দক্ষ ইলেকট্রো মেকানিক্যাল পাঞ্চকার্ড যন্ত্র তৈরি হয়।আমেরিকার শুমারি সমস্যা সমাধানের জন্য সেন্সর ব্যুরো (Bureau of Census)-এর পরিসংখ্যানবিদ ড. হারম্যন হলেরিথ (Dr. Herman Hollerith) ১৮৮৭ সালের মেশিনের সাহায্যে পাঠযোগ্য অভিধারণা (concept)-এর ভিত্তিতে ‘সেন্সাস মেশিন’ নামে একটি যন্ত্রের নক্সা প্রণয়ন করেন। পরীক্ষামূলক চালনায় দেখা যায় ড.হলেরিথের সেন্সাস মেশিনের সাহায্যে উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের জন্য সময় লাগে পূর্বের তুলনার মাত্র আট ভাগের এক ভাগ। ফলে হলেরিথের সেন্সার মেশিনের সাহায্যেই আমেরিকার ১৮৯০ সালের শুমারির কাজ সম্পন্ন করা হয়। ১৮৮০ থেকে ১৮৯০ সাল। এই দশকে আমেরিকার ৫ কোটি থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ কোটি ৩০ লাখে দাঁড়িয়েছিল।হলেরিথের যন্ত্রের সাহায্যে ৩ বছরেরও কম সময়ের মধ্যে ১৮৯০ সালের শুমারির কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছিল। ড. হলেরিথ ১৮৯৬ সালের তার উদ্ভাবিত যন্ত্র বানিজ্যিকভাবে তৈরি ও বিক্রায়ের জন্য কোম্পনি গঠন করেন। পরবর্তীতে তার কোম্পনির সঙ্গে একীভুত হয়ে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস মেশিন বা আইবিএম (IBM=International Business maching) নামে কম্পানি গঠিত হয়।পাঞ্চকার্ডে বর্গাকার ছিদ্রের সাহায্যে তৈরি সংকেতায়নের মাধ্যমে উপিাত্ত সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর কার্ডগুলো ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল যন্ত্রের প্রবেশ করিয়া দেওয়া হয়। এ পাঞ্চকার্ডের উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণের কাজ সম্পন্ন করে। কিন্তু পাঞ্চকার্ডের ট্রে বদল করা, মেশিন প্রবেশ করানো,মেশিন থেকে বের করা, কোনো মেশিন চালু করা, কোনটি থামানো ইত্যাদি কাজগুলো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই হাতে ধরে করতে হত। কম্পিউটার যন্ত্র উদ্ভাবিত হওয়ার পরই এ সব কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পদিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় ।

এ বি সি কম্পিউটার
ইলেকট্রনিক যুগ: ইলেকট্রনিক কম্পিউটারের চিন্তা প্রথম শুরু করেন পদার্থবিদ্যা ও গনিতের অধ্যাপক ড. জন ভিনসেন্ট আটনাসফ (Dr. Jonh Vincent Atanasoff)। তার গণনা কাজের জন্য উপযুক্ত যন্ত্র তখন  যেত না। তাই তিনি নিজেই উন্নত ধরনের গণনা যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন এবং ১৯৩৭-৩৮ সালের মধ্যে ইলেকট্রনিক কম্পিউটার তৈরি করেন। তার ও তার সহযোগীদের নাম অনুসারে যন্ত্রটির নাম  রাখা হয় আটনাসফ-বেরি কম্পিউটার (Atanasoff-Berry Computer), সংক্ষেপে এবিসি কম্পিউটারেই প্রথম মজুদ (Storage)এবং গাণিতিক/যুক্তিমূলক কাজের জন্য ভ্যাকুয়াম টিউব (Vacuum Tube) ব্যবহার করা হয়। লন্ডন শহর থেকে ৪০ মাইল দূরে সামরিক বাহিনীর কোড গাইডার স্কুলে এই প্রকাল্পের কাজ করা হয়েছিল।এবিসি কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছিল শুধুমাত্র গাণিতিক সমীকরণ জাতীয় কাজের বা সমস্যা সমধানের জন্য। ড. আটানাসফ এবং বেরি ১৯৪০-১৯৪১ সালের মধ্যে জন মউসলি  (John W. Mauchly)-এর  সংঙ্গে দেখা করে তাদের তৈরি  যন্ত্র দেখান। জন মউসলি তখন পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুর স্কুল অব ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে কর্মরত ছিলেন। জন মউসলি তখন বহুমুখী কম্পিউটার তৈরির চিন্তা শুরু করেন এবং চল্লিশের দশকের গোড়ার দিকে তারই ছাত্র জে. প্রেসপার একার্ট (J. presper Eckert)-এর সহযোগিতায় কাজ শুরু করেন। ১৯৩৭  সালে হার্ভার্ড  বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিতের অধ্যাপক হওয়ার্ড আইকেন (Howard G. Aicken) স্বয়ংক্রিয় গণনাযন্ত্র তৈরির উদ্যেগ গ্রহন করেন। হলেরিথের পাঞ্চকার্ড প্রযুক্তির স সঙ্গে বৈদ্যুতিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতির সমন্বয় ঘতিয়ে তিনি তার স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের তৈরির পরিকল্পনা গ্রহন করেন। আইবিএম কোম্পানির  প্রকৌশলীদের সঙ্গে নয়ে তিনি ১৯৪৪ সালের মধ্যে তার যন্ত্রটি তৈরি করতে সক্ষম হন। যন্ত্রটি মার্ক-১ (Mark-1) ডিজিটাল কম্পিউটার নামে প্রচলিত হয়। গণনা্ যন্ত্রটির অভ্যন্তরীণ কাজ বিদ্যুৎচুম্বকীয় রিলে (Electromagnetic Relay)-এর সাহায্যে নিয়ন্ত্রিত হত। গাণিতিক কাজ সম্পাদনের অংশ ছিল যান্ত্রিক (Machanical)। গঠন প্কৃতি দিক থেকে মার্ক-১ ছিল ইলেকট্রো মেকানিক্যাল কম্পিউটার। বৈশিষ্ট্যহত ভাবে এর অনেক কিছুই চার্লস ব্যাবেজের পরিকল্পিত যন্ত্রের সঙ্গে মিল ছিল
কম্পিউটারের প্রজন্ম বিভাগ :
কম্পিউটারের যাত্রা শুরু গননাযন্ত্র দিয়ে। সময়ের প্রয়জনে ধাবে ধাবে বিকাশ লাভ করে কম্পিউটার বর্তমান পর্যায়ে উপনীত হয়েছে। বিকাশের একেকটি ধাপকে একেকটি প্রজন্ম হিসেবে চিহ্নত করা হয়।প্রজন্ম বিভাগকে সঠিক দিন তারিখ ধরে সীমারেখা টানা যায় না।এক অবস্থা থেকে পরবর্তী অবস্থা


This post first appeared on Outsourcing In Bangladesh, please read the originial post: here

Share the post

কম্পিউটার উৎপত্তি হল কিভাবে ? ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কম্পিউটার কি হতে পারে ?জেনে নিন এর আগা গোড়া ইতিহাস !

×

Subscribe to Outsourcing In Bangladesh

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×