সেকেলে আর একেলের চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে অনেক আধুনিকতা
এসেছে। কোনকিছুই আর আগের মতো নেই।
Related Articles
একটা কথা আছে যায় দিন ভালো যায় আসে দিন খারাপ আসে।
তেমনি যতই মানুষ আধুনিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ততই নানান রকম অসুখে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে।
সেকেলের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটা অনুন্নত ছিল। এখনকার মতো এতো অত্যাধুনিক চিকিৎসা
ব্যবস্থা ছিলো না।
হসপিটাল, প্রাইভেট নার্সিং হোম, ভালো ডাক্তার ঔষধপত্র কোনকিছুই
ছিলোনা। এইসব চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিলোনা ঠিকেই তথাপিও মানুষ
অনেকটা সুস্থ সবল থাকতো। উচ্চ রক্তচাপ, সুগার, ইউরিক এসিড,থাইরয়েড
ডিপ্রেশন আরও নতুন রোগের কথা সেকেলের মানুষ শুনেছে কিনা জানিনা।
সেকেলর মানুষ প্রচুর খাওয়া দাওয়া করেও ভালো থেকেছে। শরীর মন স্বাস্থ্য
সবে ভালো থাকতো । চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে তাদের অত চিন্তা ভাবনা ছিলো না।
সেকেলে মানুষেরা কথায় ডাক্তারের কাছে যাওয়াটা ও পছন্দ করতো না।
ছোটমোটো অসুখ বিসুখ নিজেদের মতো করে ঠিক করে ফেলতো।
সেকেলে বাড়ীতেই বাচ্চার ডেলিভারী হয়ে যতো। সারাদিন মায়েরা
কাজে কর্মে থেকেও নরমাল ডেলিভারি হতো।
আর এখনের চিকিৎসা ব্যবস্থায় ডাক্তার উল্টো কথা বলে সারাদিন শুয়ে বসে কাটাও। বাড়ীর কোন কাজ করা চলবে না।
সিজারিয়ান ছাড়া বাচ্চার জন্ম হবে না । নার্সিং হোম গুলো
সিজারিয়ানের নামে আজকাল কত কত টাকা ইনকাম করছে। ডাক্তার যেটা বলে সেটাই বিশ্বাস করে নেয় সকলে। নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থায় আজকাল নিজেরাই ঠিক করে বাচ্চার জন্ম ।
নার্সিং হোম গুলো সেবার নামে মানুষের কাছ থেকে মোটা টাকা লুটছে। সত্যি বলতে গেলে
গরীব মানুষের জন্য এখনকার চিকিৎসা ব্যবস্থা মোটেই নয়।
ধনী মানুষের জন্য ডাক্তার রা সব বসে আছে ভালো ভালো নার্সিং হোম সাজিয়ে। গরমেন্ট
হসপিটালে সেখানে আবার সবরকম ব্যবস্থা নেই । তখন বাধ্য হয়ে প্রাইভেট নার্সিং হোমে যেতে হয়।
রোগী সুস্থ হয়ে গেলে যখন বিলটা হাতে দেয় তখন একটা মধ্যবিত্ত মানুষ বা গরীব ভাবে বাবা এর থেকে তো
মরে যাওয়া অনেক ভালো ছিলো।
এটা ঠিক এখনকার চিকিৎসা ব্যবস্থা যথেষ্ট
উন্নত মানের হয়েছে।কঠিন কঠিন অসুখ যেমন বেড়েছে তেমনি নামীদামী
ঔষধপত্র ডাক্তার কোনকিছুর অভাব নেই। প্রযুক্তির কল্যানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার আধুনিক যন্ত্রপাতি। তাতে একেলের মানুষ অনেক রোগমুক্ত যেমন হচ্ছে তেমনি মানুষ খুব তাড়াতাড়ি অসুস্থ ও হয়ে পড়ে।
ভাবে ডাক্তার আছেন চিন্তা কি।
যতই আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা হোকনা কেনো আমরা যদি নিজেদের শরীর স্বাস্থ্যর প্রতি যত্ন
নিয়ে ভালো রাখতে পারি। তাহলে আমরা ডাক্তার থেকে অনেকটা দূরে থাকতে পারি।
✍️উমা মজুমদার
২০/৩/২৩/