অভিভাবক এবং প্রতিপাল্য সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করার আইন। যেহেতু অভিভাবক এবং প্রতিপাল্য সম্পর্কিত আইন একীকরণ ও সংশোধন করা সমীচীন; সেহেতু উহা এতদ্বারা নিম্নরূপ বিধিবদ্ধ করা হল।
১ম অধ্যায়
প্রারম্ভিক
ধারা-১। শিরোনাম, আওতা ও প্রারম্ভ :
(১) এই আইনকে অভিভাবক ও প্রতিপাল্য আইন, ১৮৯০ নামে অভিহিত করা যেতে পারে,
(২) ইহা সমগ্র বাংলাদেশে প্রযোজ্য, এবং
(৩) ১৮৯০ সনের ১ জুলাই হতে ইহা কার্যকর হবে।
ধারা-২। ১৯৩৮ সনের ১নং আইন দ্বারা বাতিল করা হয়েছে।
ধারা-৩। ১৯৭৩ সনের ৮নং আইনের ২ ধারা দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে।
ধারা-৪। সংজ্ঞা :
এই আইনের বিষয়ে বা প্রসঙ্গে পরিপন্থী কিছু না থাকলে-
(১) “নাবালক” বলতে ১৮৭৫ সালের (১৮৭৫ সনের ৯নং আইন) সাবালকত্ব মর্ম মতে যে এখনো সাবালকত্ব লাভ করে নাই তাকে বুঝায়।
(২) “অভিভাবক” বলতে যে ব্যক্তি কোন নাবালকের শরীর অথবা সম্পত্তি অথবা সম্পত্তি ও শরীর উভয়ের তত্ত্বাবধানে নিযুক্ত তাকে বুঝায়।
(৩) “প্রতিপাল্য” বা “ওয়ার্ড” বলতে একজন নাবালক যার শরীর বা সম্পত্তি অথবা শরীর এবং সম্পত্তির জন্য একজন অভিভাবক আছে তাকে বুঝায়।
(৪) জেলা আদালত বলতে দেওয়ানী কার্যবিধিতে (১৯০৮ সনের ৫নং আইন) যে অর্থ বুঝান হয়েছে তা বুঝায় এবং হাইকোর্ট ডিভিশনের সাধারণ মূল দেওয়ানী অধিক্ষেত্র অন্তর্ভুক্ত করে;
(৫) “আদালত” বলতে-
(ক) এই আইনে কোন ব্যক্তিকে অভিভাবক নিযুক্ত অথবা ঘোষণা করার জন্য দরখাস্ত গ্রহণ করার বৈধ কর্তৃত্বসম্পন্ন জেলা আদালতকে বুঝায়, অথবা
(খ) যেখানে এরূপ কোন দরখাস্তের পরিপ্রেক্ষিতে অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করা হয়েছে-
(i) আদালত অথবা ঐ কর্মকর্তার আদালত যিনি অভিভাবক নিয়োগ অথবা ঘোষণা করেছেন অথবা এই আইনে অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষণা করেছেন বলে মনে করা হয়, অথবা
(ii) নাবালকের শরীর সম্বন্ধে যেকোন ব্যাপারে নাবালক কিছু সময়ের জন্য সাধারণত যেখানে বসবাস করে সে এলাকার জেলা আদালত, অথবা
(গ) ৪ক ধারায় বদলিকৃত কোন মামলা ঐ কর্মকর্তার আদালতে যার নিকট উক্ত মামলা বদলি উক্ত মামলা বদলি করা হয়েছে।
(৬) “কালেক্টর” বলতে কোন জেলার রাজস্ব প্রশাসনের প্রধান কর্মকর্তাকে বুঝায় এবং সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে নামে বা পদ মর্যাদার বলে কাকে কোন স্থানীয় এলাকার জন্য বা এই আইনের সকল বা কোন উদ্দেশ্যে কোন শ্রেণীর লোকের জন্য কালেক্টর নিযুক্ত করলে তাও অন্তর্ভুক্ত করবে;
(৭) ১৯৭৩ সনের ৮নং আইনের ৩ ধারা, ২য় তফশিল দ্বারা বাদ দেয়া হয়েছে
(৮) “নির্ধারিত” বলতে মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক নির্ধারিত কোন বিধিকে বুঝায়।
ধারা-৪ক। অধ:স্তন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তার উপর কর্তৃত্ব আরোপ করার এবং মামলা বদলি করার ক্ষমতা :
(১) হাইকোর্ট ডিভিশন সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দ্বারা মূল দেওয়ানী কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে জেলা আদালতের অধ:স্তন এমন কোন কর্মকর্তাকে বা কোন জেলা আদালতের জজকে তার অধ:স্তন কোন কর্মকর্তাকে তার নিকট বদলিকৃত যেকোন মামলা এই ধারা অনুসারে নিষ্পত্তি করবার জন্য ক্ষমতা অর্পণ করতে পারেন।
(২) কোন জেলা আদালতের জজ লিখিত আদেশ দ্বারা নিষ্পত্তির জন্য তাঁর আদালতে অপেক্ষমান এই আইনের যেকোন মামলা (১) উপ-ধারার ক্ষমতাপ্রাপ্ত তার অধ:স্তন যেকোন আদালতে বদলি করতে পারেন।
(৩) কোন জেলা আদালতের জজ (১) উপ-ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত তার অধ:স্তন যে কোন আদালতে বা এমন ধরনের অন্য কোন অধ:স্তন কর্মকর্তার আদালতে অপেক্ষমান এই আইনের কোন মামলা তার নিজ আদালতে বা এমন ধরনের অন্য কোন অধ:স্তন কর্মকর্তার আদালতে বদলি করতে পারেন।
(৪) অভিভাবক নিযুক্ত বা ঘোষিত হয়েছে এমন ধরনের এই আইনের কোন মামলা বদলি করা হলে জেলা আদালতের জজ লিখিত আদেশ দ্বারা ঘোষণা করতে পারেন যে, সেখানে এমন ধরনের মামলা বদলি হয়েছে তেমন জজের আদালত বা অফিসকে এই আইনের কোন বা সব উদ্দেশ্য অভিভাবক নিয়োগ বা ঘোষিত হওয়ার আদালত মনে করা হবে।
Related Articles
This post first appeared on পূরà§à¦· ও শিশৠনিরà§à¦¯à¦¾à¦¤à¦¨ : আইনগত সহায়তা, please read the originial post: here