Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

ক্যারিমিনাটির সংক্ষিপ্ত জীবনী | Biography of CarryMinati in Bengali

নামঅজয় নাগাড় / Ajey Nagar
ছদ্দনামCarryMinati
অভিভাবকবিবেক নাগাড় (বাবা)
*মায়ের নাম জানা নেই
বড় দাদাইয়াশ নাগাড়
জন্ম১২ই জুন ১৯৯৯, হারিয়ানা, ফরিদাবাদ
জাতীয়তাভারতীয়
কর্মইউটিউবার (২০১৪-এখনো)
শিক্ষাগ্রহনদিল্লি পাবলিক স্কুল,ফরিদাবাদ


ক্যারিমিনাটির সংক্ষিপ্ত জীবনী

Biography of CarryMinati in Bengali


CarryMinati ওরফে অজয় নাগাড় আজ ভারতবর্ষের এক অতি পরিচিত নাম। তিনি বর্তমানে ভারতের সব সফল ইউটিউবারদের মধ্যে একজন। তিনি হচ্ছেন ভারতের এমন একজন ইউটিউবার যিনি কিনা সর্বপ্রথমবারের জন্য ভারতে, ভিডিওর মাধ্যমে কাউকে রোস্টিং করার কালচারকে তুলে ধরেছিলেন দর্শকদের মাঝে। এর আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষে এইরকম ধরনের ভিডিও কনটেন্টের বিশেষ চল ছিলোনা।

আজকে তার এই সফলতার পিছনে তার অনেক বড় ব্যর্থতাগুলোও লুকিয়ে আছে।

তুমি এটা মোটেও ভেবো না যে, Carry এক চান্সে আজ সফলতার শীর্ষে উঠে গেছেন। তা কিন্তু মোটেই নয়। অনেকবারই তাকে ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হয়।

Early Life of CarryMinati:

অজয় নাগাড়ের জন্ম হয় ১২ই জুন ১৯৯৯ সালে, হরিয়ানার ফরিদাবাদ জেলায়। তার বাবার নাম হল বিবেক নাগাড় এবং বড় ভাইয়ের নাম হল ইয়াশ নাগাড়। তার বড় ভাই ইয়াশ একজন মিউজিক প্রডিউসার। তারও একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে, যেটার নাম Wily Frenzy.

CarryMinati With His Family

অজয়ের প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় দিল্লি পাবলিক স্কুল থেকে। এতো ভালো স্কুলে পরেও তিনি পড়াশোনায় তার তেমন কোনো ইন্টারেস্ট আনতে পারেননি। তিনি সেই ছোট বয়স থেকে সর্বদাই কিছু নতুন করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকতেন।

চিরাচরিত পদ্ধতিতে নিজের জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে তার মন যেন কিছুতেই চাইতো না।

Career of CarryMinati:

মাত্র ১০-১১ বছর বয়সে তিনি একটা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ফেলেন সাধারন ঝোঁকের বশেই। সেখানে তিনি এরপর নানা ধরনের ভিডিও আপলোড করা শুরু করেন। কখনো তিনি সেখানে গেমিং ভিডিও আপলোড করতেন আবার কখনো ফুটবল ট্রিকস ভিডিও। চেষ্টা তিনি মোটেই ছাড়তেন না সেই চ্যানেলকে গ্রো করার। আর সত্যি কথা বলতে এইকাজে তার মনও লাগতো পড়াশোনার অপেক্ষা অনেক বেশি।

তার প্রথম সেই চ্যানেলটার নাম ছিলো StealthFearzz, যেটা খুব ভালো একটা রেসপন্স পায়নি দর্শকদের কাছে। সেই সময় তার ভিডিওতে ৫০০ ভিউজও খুব কষ্ট করে আসতো। এর পিছনে তার অবশ্য একটা কারণ ছিলো। ২০১৩-১৪ সালে সবার কাছে ইন্টারনেট আজকের মতো এতো মুড়ি-মুড়কির বিষয় ছিলোনা।

Carryminati’s First Ever Channel on YouTube

তখনকার দিনের মানুষ একটা পাতি গান ডাইনলোড করার ক্ষেত্রেও ১০-১২ বার ভাবতো, ইউটিউব  ভিডিও তো অনেক দূরের কথা। তাই আমার মতে সেইজন্যই হয়তো অজয় সেইসময় তার চ্যানেলে এতো ভিউজ পায়নি।

এরপর তিনি ১৫ বছর বয়সে আরেকটা ইউটিউব  চ্যানেল খোলেন। যেটার নাম তিনি রাখেন Addicted A1. এই চ্যানেলটাতেও তিনি গেমিং ভিডিও আপলোড করতেন কিন্তু সেইসাথে আরেকটা জিনিসও তিনি করতেন সেটা হলো গেমিং কমেন্ট্রি।

তিনি ভিডিও গেমস খেলতে খেলতে সানি দেওল এবং ঋত্বিক রোশনের মতো বিখ্যাত বলিউড স্টারদের মিমিক্রি করতেন। দুই বছর কঠোর পরিশ্রমের পর তিনি সেই চ্যানেলে ১৫০ এর উপর ভিডিও আপলোড করে ফেলেন আর চ্যানেলও সেইসাথে ভালোই গ্রো হওয়া শুরু হয়ে যায়।

তিনি এইসময় একটা জিনিস লক্ষ্য করলেন, যেইসব মানুষ তার ভিডিও দেখতে আসতো তারা কেউই তার গেমের উপর ইন্টারেস্টেড ছিলো না যতটানা ছিল তার হাস্যকর কমেন্ট্রির উপর।

সেই জিনিসটাকে ধরতে পেরে এরপর অজয় সঙ্গে সঙ্গে নিজের চ্যানেলের নাম চেঞ্জ করে রেখে দেন CarryDeol. তিনি বিদেশি একটা চ্যানেল থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এরপর গেমিং কমেন্ট্রির সাথে সাথে অন্যান্য ছোটখাটো চ্যানেলের ভিডিও উপর রোস্টিং করাও শুরু করেন।

আরও পড়ুনঃ ইরফান খানের সংক্ষিপ্ত জীবনী

ভারতে যেহেতু এমন কনটেন্ট আগে কখনো মানুষ দেখেনি তাই তার কনটেন্ট লোকপ্রিয় হতে বেশি সময় নিলো না। কিছুদিনের মধ্যেই আগুনের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়লো তার ভিডিও দর্শকদের মাঝে।  

কিন্তু তুমি কি জানো অজয়ের একটা স্পেশাল ভিডিওর জন্যই তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হতে বাধ্য হয়। সেই ভিডিওটা যার উপর ছিলো সেও একজন ভারতেরও জনপ্রিও ইউটিউবার।

আমার মনে হয় তুমি এতক্ষনে ধরতে পেরেছো, আমি কার কথা বলছি। হ্যাঁ ঠিকই ধরেছো, bb ki vines ওরফে ভুবন বামই হচ্ছে সেই ব্যাক্তি ছিলো যাকে একটু ভয়ঙ্কর রোস্ট করে অজয়ের চ্যানেল একটা নতুন দিশা পায়।

যদিও সেই কাজের জন্য তাকে অনেক আক্রোশের সম্মুখীন হতে হয় ভুবনের ফ্যানদের কাছে। কিন্তু তাতে তার তেমন কোনো ক্ষতি হয়না বরং তার এতদিনের পরিশ্রম এবং কাজের প্রতি ডেডিকেশন অবশেষে সফলতা পায়। তারপর থেকে সত্যি বলতে তাকে আর পিছনে ফিরে মোটেই তাকাতে হয়না আজ অবধি।

অবশেষে শেষবারে জন্য অজয় তার নিজের চ্যানেলের নাম পরিবর্তন করে ফেলেন এবং রেখে দেন আজকের সময়ের সবচেয়ে চর্চিত নাম CarryMinati.

এরপর Carry অবশেষে নিজের স্কুল ছেড়ে দেন। পড়াশোনার দিকে তিনি আর এগোতে চাননি। একটা ওপেন স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে তিনি নিজের এরপর ১২ ক্লাস কমপ্লিট করেন।

এইসবের পিছনে সবচেয়ে বড় কথা হলো কি জানো, তার বাবা মায়ের সাপোর্ট। সেটা যদি তিনি না পেতেন তাহলে তিনি এইসব কিচ্ছু করতে পারতেন না। ভাগ্যক্রমে তিনি তার বাবা মায়ের সাপোর্ট পেয়েছিলেন বলেই তিনি নির্ভয়ে নিজের জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।

সবার ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। আজও অনেকের মধ্যে হাজারো প্রতিভা থাকলেও বাবা মায়ের সাপোর্ট না পাওয়ার জন্য অনেকেরই সব কিছুই ছেড়ে দিতে হয়।

তুমি যদি বাবা মা হয়ে থাকো আর যদি আমার লেখা এখন পড়ে থাকো, তাহলে তোমাকে আমি অনুরোধ করছি নিজের ছেলে-মেয়ে কি হতে চায় তা একবারের জন্য হলেও শোনো আর তাদের সাপোর্ট করে দেখো।

সবসময় নিজের ইচ্ছাকে তাদের উপর জোড় করে চাপিয়ে দিওনা। এটা খারাপ জিনিস।

দিনের শেষে একটাই কথা, শুনতে হয়তো তোমার খারাপ লাগবে, কিন্তু তোমার অবশ্যই শোনার প্রয়োজন আছে আর সেটা হলো এই যে, নিজের সন্তানের ইচ্ছাকে কখনোই অবহেলা করোনা। তুমি ভেবো না তুমি বাবা মা বলে নিজের ছেলেমেয়ের ভালো খারাপ সম্পর্কে সবই জানো আর সবই বোঝো। তা কিন্তু মোটেই নয়। সবাই নিজের ভালো-মন্দ বোঝে, এমনকি তোমার ছেলেমেয়েও।

যাই হোক, আবার CarryMinati -এর কথায় ফিরে আসি। আজকের বিষয়ের থেকে বাইরে চলে যাচ্ছি।

অন্য মানুষদের নিয়ে রোস্টিং ভিডিও বানানোর ফলে অজয়ের চ্যানেল অনেকবার কপিরাইট স্ট্রাইকের সম্মুখীন হয়। একবার তো তার চ্যানেলে একসাথে পরপর ৩টে কপিরাইট স্ট্রাইক চলে আসে। চ্যানেল প্রায় শেষ হয়ে যেতে বসে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে মানুষের ভালোবাসা এবং সাপোর্টের কারনে ইউটিউব তার চ্যানেল থেকে সেইসব কপিরাইট স্ট্রাইক সরাতে বাধ্য হয়।

এর কিছু বছর পর Carry নিজের আরেকটা চ্যানেল খোলেন CarryisLive নামে। সেখানে তিনি সম্পূর্ণভাবে গেমিং লাইভ স্ট্রিম করতে শুরু করেন। আজ সেই চ্যানেলও ভারতের সমস্ত বড় সব গেমিং চ্যানেলের মধ্যে একটা।

Credit: Beerbiceps YouTube Channel

Awards of CarryMinati:

1. ২০১৯ সালে টাইম ম্যাগাজিন কর্তৃক “10 Next Generation Leaders” পুরস্কার।

2.  ৫টি ইউটিউব ক্রিয়েটর পুরস্কার- ২টি সিল্ভার প্লে বটন (CarryMinati এবং CarryisLive), ২টি গোল্ডেন প্লে বটন (CarryMinati এবং CarryisLive), ১টি ডায়মন্ড প্লে বটন (CarryMinati).  

3. ২০২০ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন কর্তৃক 30 Under 30 in Asia পুরস্কার।  


আশা করি তুমি “Biography of CarryMinati in Bengali” পড়ে নিশ্চই অনেক কিছু সুন্দর তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছো | পোস্টটা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই একটু Comment করে তোমার মতামত আমায় জানিও | তোমার মূল্যবান মতামত আমাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে ভীষনভাবে সাহায্য করে |

The post ক্যারিমিনাটির সংক্ষিপ্ত জীবনী | Biography of CarryMinati in Bengali appeared first on Ajob Rahasya.

Share the post

ক্যারিমিনাটির সংক্ষিপ্ত জীবনী | Biography of CarryMinati in Bengali

×

Subscribe to মস্তিষ্কের অবচেতন ভাগের ক্ষমতা বৃদ্ধির উপায় |how To Unlock Subconscious Mind Power In Bangla

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×