Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

Jujube Fruit - কুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

Jujube Fruit- কুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা। কুল এটি আমাদের সকলেরই খুবই পরিচিত একটি ফল। কুল প্রায় আমাদের সকলেরই খুবই প্রিয়, টক-মিষ্টি স্বাদের কুল। কুল আমাদের সেই ছেলেবেলাকার কথা মনে পড়িয়ে দেয়। ভারতবর্ষে মূলত বসন্ত শুরু এবং শীতের শেষে কুল পাওয়া যায়। এটি মূলত গ্রীষ্মমন্ডলীয় দেশগুলিতে বেশি চাষ করা হয়। কুল প্রায় খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দী থেকে ব্যবহার হয়ে আসছে। তো আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নেব কুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।


কুলের ইংরেজি নাম কি?

কুলের ইংরেজি নাম হল Jujube Fruit।

কুলের বিজ্ঞান সম্মত নাম কি?

কুলের বিজ্ঞান সম্মত নাম হল Ziziphus Mauriitina।

কুলের বর্ণনা:

কুল গাছ হল একটি পর্ণমোচী উদ্ভিদ। যার উচ্চতা প্রায় প্রায় ষোলো থেকে চল্লিশ ফুট। কুল গাছের কাঁটা যুক্ত শাখা থাকে। এর পাতা চকচকে সবুজ রঙের ডিম্বাকৃতির হয়ে থাকে। উলের ফুলগুলি ছোট ছোট হয়। পাঁচটি পাপড়ি বিশিষ্ট অস্পষ্ট হলুদ সবুজ রঙের হয়ে থাকে। কুল ফল কাঁচা অবস্থায় মসৃণ সবুজ, অম্লতা বিশিষ্ট একটি ফল। ফাঁকা ফল বাদামি রঙের হয়ে থাকে। এবং শেষে কুঁচকে যায় দেখতে অনেকটা খেজুরের মত লাগে। কুলের একটি বীজ বা আটি থাকে। 

এবার আমরা জেনে নেব কুলের পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে।

কুলের পোস্টটি উপাদান:

  • খাদ্যশক্তি 
  • কার্বোহাইড্রেট 
  • প্রোটিন 
  • ফ্যাট 
  • ভিটামিন এ
  • থায়ামিন 
  • নিয়াসিন
  • রিবোফ্লাভিন
  • ভিটামিন বি ৬ 
  • ভিটামিন সি 
  • ক্যালসিয়াম 
  • ম্যাগনেসিয়াম 
  • পটাশিয়াম 
  • সোডিয়াম 
  • আয়রন
  • ম্যাঙ্গানিজ
  • ফসফরাস
  • জিংক
  • জল

প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা কুলের পুষ্টিগুন:

Sl.no Nutition Per100g
1.জল  ৭৭.৮৬ গ্রাম
2.  জিংক    ০.০৫ মিলিগ্রাম
3.  ফসফরাস  ২৩ মিলিগ্রাম 
4.  ম্যাঙ্গানিজ   ০.০৮৪ মিলিগ্রাম 
5.  আয়রন   ০.৪৮ মিলিগ্রাম 
6.  সোডিয়াম   ৩ মিলিগ্রাম 
7.  পটাশিয়াম  ২৫০ মিলিগ্রাম 
8. ম্যাগনেসিয়াম   ১০ মিলিগ্রাম 
9.   ক্যালসিয়াম ২১ মিলিগ্রাম 
10.  ভিটামিন সি   ৬৯ মিলিগ্রাম 
11.  ভিটামিন বি    ৬ ০.০৮১ মিলিগ্রাম 
12. রিবোফ্লাভিন    ০.৪ মিলিগ্রাম 
13.  নিয়াসিন    ০.৯ মিলিগ্রাম 
14. থায়ামিন    ০.০২ মিলিগ্রাম 
15. ভিটামিন এ ৪০ মাইক্রোগ্রাম 
16.  ফ্যাট   ০.২ গ্রাম
17.  প্রোটিন   ১.২ গ্রাম
18.কার্বোহাইড্রেট২০.২৩ গ্রাম
19. খাদ্যশক্তি ৭৩ কিলো ক্যালোরি 


প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কুলের পুষ্টিগুন:


Sl.no Nutition Per100g
1.  খাদ্যশক্তি  ২৮৭ কিলো ক্যালোরি
2. কার্বোহাইড্রেট   ৭৩.৬ গ্রাম
3.  প্রোটিন  ৩.৭ গ্রাম
4.  ফ্যাট   ১.১ গ্রাম
5.  ভিটামিন  এ  ৪০ মাইক্রোগ্রাম 
6.  থায়ামিন  ০.২১ মিলিগ্রাম 
7.  নিয়াসিন   ০.৫ মিলিগ্রাম 
8.  জল   ১৯.৭ গ্রাম
9. জিংক   ৯ মিলিগ্রাম 
10.  রিবোফ্লাভিন    ০.৩৬ মিলিগ্রাম 
11.  ভিটামিন বি    ৬ ০০ মিলিগ্রাম 
12.  ভিটামিন সি   ১৩ মিলিগ্রাম 
13.ক্যালসিয়াম    ৭৯ মিলিগ্রাম 
14.  ম্যাগনেসিয়াম   ৩৭ মিলিগ্রাম 
15.  পটাশিয়াম   ৫৩১ মিলিগ্রাম 
16. সোডিয়াম   ৯ মিলিগ্রাম 
17. আয়রন    ১.৮ মিলিগ্রাম 
18.ম্যাঙ্গানিজ ০.৩০৫ মিলিগ্রাম 
19.ফসফরাস ১০০ মিলিগ্রাম 

এবার আমরা জেনে নেব কুলের উপকারিতা সম্পর্কে।

কুলের উপকারিতা:

১. কুল হজম শক্তি উন্নত করে:

কুল আমাদের হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। কারণ কুলের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। যা হজম শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই যাদের বদহজমের সমস্যা আছে, তারা যদি পরিমাণ মতো কুল খায়, তাহলে হজম শক্তি উন্নত হতে পারে।

২. কুল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে:

আমাদের শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কারণ কুলের মধ্যে আছে ক্যান্সার বিরোধী বৈশিষ্ট্য। যেটা ক্যান্সারে কোর্সের বৃদ্ধিতে বাঁধা সৃষ্টি করে। লিউকেমিয়া ও টিউমারের কোষ গঠনে বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি করে। এর সাথে সাথে কুলের মধ্যে আছে এই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য। যা ডিম্বাশয়, লিভার, স্তন, কোলন ও ত্বক ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রকমের ক্যান্সারের ঝুঁকি এড়াতে সাহায্য করে।

৩. কুল রক্ত বিশুদ্ধ করে:

কুলের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যৌগ স্যাপোনিন ও অ্যালকালয়েডের সমৃদ্ধি রক্তকে ডিটক্স করতে সহায়ক। পুষ্টিগুণে ভরপুর স্কুলের শক্তিশালী নির্যাস সিস্টেম থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন পরিষ্কার করতে সহায়ক। এছাড়াও প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক ও বিভিন্ন রকম রক্ত সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি কমাতেও সহায়ক।

৪. কুল হার্ট সুস্থ রাখে:

কুল আমাদের হার্টের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে। কারণ কুলের মধ্যে আছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম এবং সীমিত পরিমানের সোডিয়াম। এগুলি রক্তনালিকা শিথিল করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কুলের মধ্যে আছে শক্তিশালী অ্যান্টি অ্যাথেরোজিনক বৈশিষ্ট্য যা শরীরের ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ হ্রাস করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমায়। 

৫. কুল হাড় মজবুত করে:

কুল আমাদের হাড়ের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। অস্টিওপোরোসিস হল হাড়ের একটি দুর্বল অবস্থা। যেটা অঙ্গবিন্যাস, হাড়ের কার্যকারিতা ও নমনীয়তা প্রভাবিত করে। স্কুলের নির্যাস ও কুলের বিচের তেল বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী। অথবা ভাঙা বা ভঙ্গুর হাড়ের জন্য অত্যন্ত দামী জিনিস। যেটা হাড়ের জয়েন্ট গুলোর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্কুলের মধ্যে আছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস যা হার মজবুত করতে এবং শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

৬. কুল শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে:

কুল আমাদের শরীরের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কারণ ফুলের মধ্যে আছে পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন ও জিংক যা শরীরের রক্ত সঞ্চালন সঠিক রাখে। এছাড়াও ফুলের মধ্যে উপস্থিত আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনে পরিমাণ বৃদ্ধি করে।

৭. কুল শরীরে ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে:

কুলের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ এর মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের শরীরে ক্ষতিকর টক্সিন গুলি বিরুদ্ধে লড়াই করে, প্রদাহ জনক সাইটোকাইনিন গুলি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও ফুলের মধ্যে আছে অ্যান্টি-অ্যানাফিল্যাকটিক বৈশিষ্ট্য যা অতি সংবেদনশীলতা প্রতিরোধ করে ও মৌসুমী ঠান্ডা জ্বর কে উপশম করতে সাহায্য করে।

৮. কুল ওজন কমাতে সাহায্য করে:

কুল আমাদের শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। কারণ কুলের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার এবং প্রোটিন। যা আমাদের শরীরে খাদ্য হজম করতে সময় নেয় এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত খিদে লাগে না। হলে আমাদের শরীরে ওজনও কমতে শুরু করে। 

৯. কুল ক্ষত নিরাময় করতে সহায়ক:

কুল রোগ জীবাণু ও জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক কারণ এর মধ্যে ইমিউন ট্রিগারিং ফাইটোকেমিক্যাল দ্বারা ভর্তি আছে। কুলের মধ্যে থাকা শ্রাবণয়ের যৌগগুলি শক্তিশালী অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যের অধিকারী হয়। ফলে যেটা শিশুদের সংক্রমণের চিকিৎসায় খুবই উপকারী হয়ে ওঠে। এছাড়াও ফুলের মধ্যে আছে বেটুলিনিক অ্যাসিড, যা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে।

১০. কুল কোষ্টকাঠিন্য দূর করে:

কুল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কারণ কুলের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে এবং মল নরম করতে সহায়ক। ফলে যেসব ব্যক্তিদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে তারা কুল খেতে পারেন তাতে উপকার মিলবে।

১১. কুল অনিদ্র দূর করতে সাহায্য করে:

কুরআন নিদ্রা দূর করতে সহায়ক। কারণ কুলের মধ্যে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা, ঘুমের উন্নতি করতে সহায়ক।

১২. কুল কোলেস্ট্রেরল নিয়ন্ত্রণ করে:

কুল আমাদের শরীরে কোলেস্ট্রলের নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। কারণ কুল আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করে এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্র বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

১৩. কুল চুলের জন্য উপকারী:

কুল চুলের জন্য উপকারী উপাদান। চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম করে। চুলের বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কুলের তেল।

১৪. কুল উজ্জ্বল ত্বকের জন্য উপকারী:

কোন ত্বকের জন্য খুবই উপকারী উপাদান। কারণ ফুলের মধ্যে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ত্বকের বলি রেখা দূর করতে সাহায্য করে কুল। ত্বক উজ্জ্বল এবং চকচকে করতে সহায়ক কুল।

কুলের ব্যবহার:

  • কুলকে আমরা বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করতে পারি. যেমন-
  • কুলের আচার বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • কুলকে ভালো ভাবে ধোয়ার পর সরাসরি কাঁচা খাওয়া যেতে পারে।
  • পাকা কুলকে সরাসরি ভাবে খাওয়া যেতে পারে।
  • কুলের চাটনি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

কুলের আচার কিভাবে বানানো হয়? কুলের আচারের রেসিপি:

  1. প্রথমে কুলগুলিকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। 
  2. তারপর কুলগুলোকে কেটে নিতে হবে। একটা কুলকে তিনটে ভাগে ভাগ করে কেটে নিতে হবে। 
  3. তারপর সেই কাঁটা কুলগুলির সাথে পরিমাণ মতো কাঁচা লঙ্কা, শুকনো লঙ্কা, কালো সরষে ভালো ভাবে বেটে নিতে হবে। 
  4. তারপর ওই পেস্টটা কাটা কুলগুলোর সঙ্গে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।
  5. তারপর একটা থালায় পাতলা করে কুলগুলো মিলে দিতে হবে।
  6. তারপর বেশ কয়েক দিন রোদ দিতে হবে।
  7. তারপর যখন দেখবেন ফুলগুলি একদম শুকিয়ে গেছে লাল হয়ে, তখন কুলের আচার তৈরি।
  8. তারপর ওই শুকনো কুলের আচারটি একটি কাঁচের ডিব্বার মধ্যে ভরে রেখে এক থেকে দেড় মাস পর্যন্ত খাওয়া যেতে পারে।

এবার আমরা জেনে নেব কুল খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে।

কুল খাওয়ার অপকারিতা:

  • যদি কোন ব্যক্তি অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট ওষুধ খান তবে তার কুল না খাওয়াই উচিত।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় কুল খাওয়ার ফলে বারবার পায়খানা হতে পারে।
  • খুব বেশি কুল খাওয়ার ফলে বমি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় কুল খাওয়ার ফলে গ্যাস, অম্বল, বদহজম ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় কুল খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা, পেটে ফোলা ভাব হতে পারে।
  • অতিরিক্ত মাত্রায় কুল খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া পর্যন্ত হতে পারে।
  • আবার অতিরিক্ত মাত্রই কুল খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
  • কুলে অনেক ব্যক্তির আবার অ্যালার্জি হতে পারে। অ্যালার্জির লক্ষণ গায়ে চুলকানি, শ্বাসকষ্ট, ফোলা ভাব ইত্যাদি।
  •  প্রচুর পরিমাণে কুল খাওয়ার ফলে ক্ষুধা হ্রাস পেতে পারে।
  •  অতিরিক্ত মাত্রায় কুল খাওয়ার ফলে রক্ত পাতলা হয়ে যেতে পারে।

 কুল সম্পর্কে অন্যান্য কিছু প্রশ্ন এবং তার উত্তর:

 কুল কি জন্য ভালো?

 কুল হাড়ের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।

 এক দিনে কতগুলো কুল খাওয়া উচিত?

 এক দিনে তিন থেকে চারটি কুল খাওয়া উচিত।

 পিরিয়ডের সময় কুল খাওয়া যেতে পারে?

 হ্যাঁ, কুল খাওয়া যেতে পারে। খাওয়ার ফলে মাসিক চক্রের সময় রক্ত এবং ইয়াং শক্তি পূরণ করতে সহায়ক।

 কুল গরম নাকি ঠান্ডা?

 কুল গরম খাবার হিসেবে পরিচিত।

 কুল কি রক্ত পাতলা করে?

 কুলের মধ্যে রক্ত পাতলা করার প্রভাব আছে।

 কুল কি ত্বকের জন্য ভালো?

 হ্যাঁ, কুল ত্বকের জন্য উপকারী। কারন কুল ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

 কুল কি চুলের জন্য ভালো?

 হ্যাঁ, কুলের তৈরি তেল চুলের জন্য খুবই উপকারী।

 কুল কি ঘুমের জন্য ভালো?

 হ্যাঁ, কুল ঘুমের জন্য ভালো। অনিদ্রা জনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

 কুল কি সর্দির জন্য ভালো?

 হ্যাঁ, কুল সর্দি-কাশির জন্য উপকারী। কুলকে সর্দি কাশির চিকিৎসায় ভেষজ ওষুধের সাথে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

 কুল কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?

 হ্যাঁ, কুল ওজন কমানোর জন্য একটি সাহায্যকারী উপাদান।

 কুল কি ডায়াবেটিসের রোগীরা খেতে পারেন?

 কুল ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপকারী ফল।

 কুলে কি অ্যালার্জি আছে?

 ফুলের মধ্যে অ্যালার্জি আছে।

 কুলের মধ্যে কি আয়রন বেশি?

 প্রতি ১০০ গ্রাম কুলের মধ্যে আয়রন আছে ০.৪৮ মিলিগ্রাম।

 ভারতীয় কুল কোন ঋতুতে হয়?

 ভারতীয় কুল শীতকাল এবং বসন্তকালের মাঝে মাঝে পর্যন্ত হয়।

 কুল কি ঔষধ?

 কুল একটি ভেষজ ঔষধ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

 ভারতে কোথায় কোথায় কুলের জন্মে?

 ভারতে গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থান, কর্ণাটক, বিহার, অন্ধপ্রদেশ, আসাম, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু।

 কুলকে হিন্দিতে কি বলে?

 কুলকে হিন্দিতে বলে বের।

 ভারতীয় কুলের স্বাদ কেমন?

 ভারতীয় ফুলের স্বাদ মিষ্টি এবং টক।

 উপসংহার:

 আজকে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলটিতে জেনে নিলাম কুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। এছাড়াও জেনে নিলাম কুলের বর্ণনা, কুলের বিজ্ঞান সম্মত নাম, কুলের ইংরেজি নাম এছাড়া অন্যান্য সমস্ত রকম বিষয়ে জেনে নিলাম। আশা করি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনাদের বোঝার মত হয়েছে যদি ভালো লাগে তো কমেন্টে জানান। বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। যারা আমাদের এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। সুস্থ থাকুন।



This post first appeared on Sasthoidami.com, please read the originial post: here

Share the post

Jujube Fruit - কুল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা।

×

Subscribe to Sasthoidami.com

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×