চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে দ্বিতীয় শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধায় উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাঁসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ দিকে একই দিন রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এবং বুধবার সকালে ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরিক্ষার জন্য চাঁদপুরে প্রেরণ করা হয়েছে।
Related Articles
জানাযায়, মঙ্গলবার সন্ধায় উপজেলার ৯নং গোবিন্ধপুর ইউনিয়নের হাঁসা গ্রামের মাঝি বাড়ির আবুল কালাম (৫০) শিক্ষার্থীকে কৌশলে দুলালের ঘরে নিয়ে যায়। এসময় মেয়েটির মুখের ভেতরে আপেল ঢুকিয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটির চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দেয় লম্পট আবুল কালাম। বিষয়টি মেয়েটি তার মায়ের কাছে বললে তার মা তাকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স নিয়ে আসে। এই সময় কর্তবরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আইন গত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য থানায় পাঠায়। রাতে বিষয়টি আমলে নিয়ে থানার অফিসার ইনর্চাজ সাইদুল ইসলাম মামলা রুজু করেন।
স্খানীয় লোকজন বলেন, আবুল কালামের স্ত্রী মারা গেছে এখনও ৪৫ দিন হয়নি এর ভেতরে সে এই কাজ করেছে। আমরা তার বিচার চাই। যাতে সমাজে কেউ এই ধরনের খারাপ কাজ করতে না পারে।
শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমি বিকালে আমার মেয়েকে কয়েল আনতে দোকানে পাঠিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় হয়ে গেছে আসতে দেরি দেখে আমি সামনে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে খুড়িয়ে হাটছে। আমি তাকে জিজ্ঞাসার পর তার সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়ে আমার আমাকে জানায়। আমি এই লম্পটের বিচার চাই।
এদিকে ধর্ষনের ঘটনার পর লম্পট আবুল কালাম পালিয়ে যায়। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।
ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ সাইদুল ইসলাম বলেন, রাতে ঘটনাটি শুনে মামলা রুজু করেছি। ভিকটিমকে মেডিক্যাল পরিক্ষার জন্য চাঁদপুরে পাঠিয়ে দিয়েছি এবং আসামী ধরার জন্য আমাদের পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
প্রতিবেদক: শিমুল হাছান, ২৪ এপ্রিল ২০২৪