Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

একজন মানবিক মেয়র : জিল্লুর রহমান জুয়েল

সময়টা ৭ আগস্ট রোববার বেলা সাড়ে ১১টা। চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েলকে তার নিজ কার্যালয়ে নাগরীক সেবাদানে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়। যদিও পৌরসভার মেয়র হিসেবে এমন ব্যস্ততা তার নিত্যদিনের কর্ম।

কিন্তু মেয়র নির্বাচিত হবার আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, পৌরসভায় মেয়র কক্ষের দরোজা তিনি সব সময় খোলা রাখবেন। তিনি কথা রেখেছেন। যার ফলে প্রতিটি দিন অফিস চলাকালিন সময় চাঁদপুর পৌর মেয়রের কক্ষটি পৌর নাগরীকদের আনাগোনায় মুখর থাকে। এতে কিছু সময় অপেক্ষা করা কোন কোন নাগরীক বিরক্ত হলেও, বিরক্ত হন না পৌর মেয়র।

তার কার্যালয়ে আসা একজন নাগরীককেও নিরাশ করছেন না তিনি। সাধ্যমতো সবাইকেই সেবা দিয়ে থাকেন। পৌর পরিষদের সার্ধ্যের বাইরে গিয়ে কিছু করতে না পারলে, অন্তত হাসিমুখ ‘চা খেয়ে যান’ কথাটি শুনে খুশি থাকছেন আগত পৌরবাসী। বেশ সময় ধরে আমরা দু’জন সংবাদকর্মী বসে ছিলাম মেয়রের কার্যালয়ে। উদ্দেশ্যে একটি সংবাদের তথ্য সংগ্রহ। হঠাৎ নজরে পড়লো আমাদের পাশে বসে আছেন এক অসহায় দম্পতী। মা উম্মে কুলসুমার কোলে তাঁদের ৯ বছরের শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু মেহেদী হাসান।

শহরের ষোলঘর জিটি রোড এলাকা থেকে আসা শিশুটির ভাগ্যহত পিতা তারিকুজ্জামান সোহাগ আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, সাংবাদিক ভাই পোলাডার জন্য একটা হুইল চেয়ার প্রয়োজন। আপনারা যদি, মেয়র স্যারকে একটু বলে দিতেন। শিশুটির দিকে তাকিয়ে আমাদেরও খুব মায়া হলো। পূর্ব অভিজ্ঞতা এবং আত্মবিশ্বাস থেকে বললাম, ভয়ের কিছু নেই। আপনি সামনে এগিয়ে যান। আমরা সাথে আছি। দেখবেন, মেয়র সাহেব আপনাকে দেখলে নিজেই এগিয়ে আসবে। এ কথা বলবার পর সেবা নিতে আসা অন্য নাগরীকদের ভীড় ঠেলে মেয়রের টেবিল অব্দি পৌঁছানোর চেষ্টা করেন অসহায় এ দম্পতি।

সেবা গ্রহীতা নাগরীকদের জটলার বৃত্তে থেকেই এমন দৃশ্য নজরের আনেন মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল। সাথে সাথে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ান তিনি। এরপর সোহাগ-কুলছুম দম্পতির কাছে গিয়ে জানতে চাইলেন, কী উদ্দেশ্যে তাদের আগমন।

মেহেদির পিতা সোহাগ জানান, ছেলের জন্য একটি হুইল চেয়ার প্রয়োজন। পৌর মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল সাথে সাথে ১ টি হুইলচেয়ার আনার নির্দেশ দেন অফিসের কর্তব্যরতদের। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আনা হলো নতুন একটি হুইলচেয়ার। এবারও মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল উঠে গিয়ে শিশু মেহেদী হাসানকে চেয়ারে বসিয়ে পরম মমতায় তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন। এমন দৃশ্যে ভাগ্যহত শিশুটির পিতা-মাতার চোখে জমতে থাকে আনন্দ অশ্রু। তারা হাতের উল্টো পিঠে সে আশ্রু লুকবার চেষ্টা করেন। পাশে কেউ একজন বলে ওঠেন, ‘আমাদের পৌর পিতা সত্যিই একজন মানবিক মেয়র।’ 

প্রতিবেদক: আশিক বিন রহিম, ৭ আগস্ট ২০২২



This post first appeared on ChandpurTimes, please read the originial post: here

Share the post

একজন মানবিক মেয়র : জিল্লুর রহমান জুয়েল

×

Subscribe to Chandpurtimes

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×