পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার মোহাম্মদ ছৈয়দ (৩০) ও মালেকা বেগমের (২৫)। তিন বছর আগে জীবিকার প্রয়োজনে চট্টগ্রামে আসেন এই দম্পতি। সুখেই কাটছিল তাঁদের দিন। হঠাৎ আজ বুধবার পলিথিনে মুড়িয়ে স্ত্রীর লাশ নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে হাজির হন ছৈয়দ। জানান, স্ট্রোক করে মারা গেছেন মালেকা।
Related Articles
এদিকে গলায় নির্যাতনের দাগ দেখে সন্দেহ হয় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। খবর পেয়ে মালেকা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ছৈয়দ ও তাঁর ছোট বোন ছানোয়ারাকে আটক করে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের আমানত শাহ কলোনির ভাড়া বাসায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মালেকাকে হত্যা করেন ছৈয়দ। হত্যার পর ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে স্ত্রীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে খবর দেন তিনি। আজ বুধবার সকালে স্ত্রীর লাশ নিয়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাকঢালায় শ্বশুরবাড়িতে আসেন। লাশ দেখে পরিবারের সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেন তাঁরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আমিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী ছৈয়দ তাঁর স্ত্রীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। পুলিশকে ছৈয়দ জানান, সংসারে বনিবনা না হওয়ায় স্ত্রীকে হত্যা করেন তিনি। ওড়না পেঁচানো অবস্থায় আট মিনিট রেখে মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহতের বাবা বশির আহমদ বলেন, মঙ্গলবার জামাই মোবাইল করে জানায়, মেয়ে স্ট্রোক করে মারা গেছে। আজ পলিথিন মোড়ানো লাশটি খুলেই গলায় দাগ দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশকে খবর দিলে হত্যার বিষয়টি বেরিয়ে আসে। তিনি মেয়ে হত্যাকারীর ফাঁসি চান।
নিউজ ডেস্ক
: আপডেট, বাংলাদেশ সময় ৭:৪০ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭, বৃহস্পতিবার
এএস
The post হত্যার পর স্ত্রীর লাশ নিয়ে গেলেন শ্বশুরবাড়ি! appeared first on Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস.