ধূমপানের অভ্যাস হৃৎপিণ্ডের জন্য যেমন ক্ষতিকর, একটি কলহপূর্ণ দাম্পত্য তেমনই ক্ষতিকর।
Related Articles
(প্রিয়.কম) এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে নারীর জীবনে স্ট্রেস অনেক বেশী। বিশেষ করে মাতৃত্বের স্ট্রেসের কথা বলতেই হয় এক্ষেত্রে। একটি জরিপ অনুযায়ী, মায়েদের স্ট্রেস থাকে ১০ এর ভেতর ৮.৫। শুধু তাই নয়, অনেক নারী স্বীকার করেন, সন্তানের চাইতে স্বামীই বরং তাদের জীবনে স্ট্রেসের বড় কারণ।
কিছু কিছু গবেষণায় দেখা যায় যে বিয়ে স্বাস্থ্য ভালো করতে কার্যকরী, তা হার্ট অ্যাটাক এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কার্যকরী। কিন্তু দাম্পত্যে যারা সুখী নন, তাদের ক্ষেত্রে এটা প্রযোজ্য নয়। এমনকি, ধূমপানের অভ্যাস হৃৎপিণ্ডের জন্য যেমন ক্ষতিকর, একটি কলহপূর্ণ দাম্পত্য তেমনই ক্ষতিকর। তাদের দুজনেরই স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বেশী থাকে।
দাম্পত্যে স্ট্রেস বাড়াতে পারে সন্তানের উপস্থিতি। ২০০৯ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ১০টি দম্পতির ৯টি থেকে বলা হয় প্রথম সন্তানের জন্মের পর তাদের সম্পর্কে অবনতি ঘটে।
দেখা যায়, মায়েদের স্ট্রেসের সবচাইতে বড় কারণ হলো স্বামী ও সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে তারা সব কাজ করে উঠতে পারে না। ৬০ শতাংশ নারীর ক্ষেত্রেই তা দেখা যায়।
এমন অবস্থায় কী করতে পারেন আপনি? দাম্পত্যকে পুরোপুরি স্ট্রেস-ফ্রি রাখা হয়ত সম্ভব নয়। কিন্তু সঙ্গীর সাথে সম্পর্ক ভালো রাখা ও পারিবারিক পরিস্থিতি সহনীয় রাখাটা সম্ভব। এখন আমাদের জীবনটাই এমন যে খুঁজতে গেলে স্ট্রেসের একশোটা কারণ পাওয়া যাবে। নিজের স্ট্রেস কমানোর চেষ্টা করুন, সঙ্গী যেন আপনাকে কাজে সাহায্য করে তার ব্যবস্থা করুন এবং একে অপরকে কীভাবে কম স্ট্রেস দেওয়া যায় তা ঠিক করুন। সর্বোপরি মনে রাখুন, যে একে অপরকে ভালোবাসার জন্যই আপনারা বিয়ে করেছেন, অন্য কোন কারণে নয়।
সূত্র: Huffington Post
প্রিয় লাইফ
This post first appeared on Amr Bangla - 24/7 Online News Portal, please read the originial post: here