তোমার চোখগুলো আমার হৃদয়ে কাঁটা হয়ে আছে;
তোমার শব্দগুলো ছিল একটা গানের মতন
যা আমি গাইবার চেষ্টা করতাম,
কিন্তু বসন্তের ঠোঁটগুলোকে
আমাকে কষ্ট দেয়, তবু চোখদুটিকে ভালোবাসি
আর সামলে রাখি হাওয়ার হাত থেকে।
আর সামলে রাখি হাওয়ার হাত থেকে।
তোমার শব্দগুলো ছিল একটা গানের মতন
যা আমি গাইবার চেষ্টা করতাম,
কিন্তু বসন্তের ঠোঁটগুলোকে
ঘিরে রাখত অসহ্য যন্ত্রণা।
আমি তোমাকে দেখেছি বনগোলাপে
ঢেকে থাকা পাহাড়গুলোতে;
তুমি সেই মেষপালিকা যার কোনো মেষ নেই,
যাকে তাড়া করে ফেরা হয় ধবংসস্তূপে।
তুমি ছিলে আমার বাগান
যখন আমি ঘর থেকে দূরে ছিলাম।
আমি তোমাকে দেখেছি জলকূপগুলোতে
আর ভাঙাচোরা সব শস্যাগারে।
আমি তোমাকে দেখেছি নাইটক্লাবগুলোতে,
টেবিলের ওপর অপেক্ষারত।
আমি তোমাকে দেখেছি জখম আর কান্নার আলোয়।
তুমি জীবনের একটা বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস;
তুমি আমার ঠোঁটগুলোর স্বর;
তুমি পানি… তুমি আগুন।
আমি তোমাকে দেখেছি গুহার মুখে,
আমি তোমাকে দেখেছি দোকানে দোকানে,
তুমি সেই মেষপালিকা যার কোনো মেষ নেই,
যাকে তাড়া করে ফেরা হয় ধবংসস্তূপে।
তুমি ছিলে আমার বাগান
যখন আমি ঘর থেকে দূরে ছিলাম।
আর ভাঙাচোরা সব শস্যাগারে।
আমি তোমাকে দেখেছি নাইটক্লাবগুলোতে,
টেবিলের ওপর অপেক্ষারত।
আমি তোমাকে দেখেছি জখম আর কান্নার আলোয়।
তুমি জীবনের একটা বিশুদ্ধ নিঃশ্বাস;
তুমি আমার ঠোঁটগুলোর স্বর;
তুমি পানি… তুমি আগুন।
আমি তোমাকে দেখেছি দোকানে দোকানে,
রাস্তায় রাস্তায়,
আস্তাবলে আর সূর্যাস্তে।
আমি তোমাকে দেখেছি
আস্তাবলে আর সূর্যাস্তে।
আমি তোমাকে দেখেছি
এতিম আর হতভাগাদের গানে।
আমি তোমাকে দেখেছি বালিতে আর লবনে।
তোমার রূপ ছিল মৃত্তিকা, শিশু আর জেসমিনের।
আমি কসম খাচ্ছি
আমার চোখের পাপড়ি থেকে একটা চাদর বুনব
আর তা অলঙ্কৃত করব কবিতায়,
এক ঝড়ের রাতে আমি জানলা খুলেছিলাম
আর দেখতে পেয়েছিলাম একটা বিকলাঙ্গ চাঁদ।
আমি রাত্রিকে বললাম: “চলে যাও
অন্ধকারের বেড়া পেরিয়ে চলে যাও!
বিজলি আর শব্দের সাথে আমার সভা আছে।”
তুমি আমার কুমারি উদ্যান
যে-পর্যন্ত আমাদের গান
খাপ খোলা তলোয়ার যেন।
বীজের মত বিশ্বস্ত তুমি
যে-পর্যন্ত আমাদের গান
পরিপুষ্ট করে রাখে ভূমি…
তুমি একটা রুহানি তালগাছ
কাটতে পারে না যাকে হাওয়া, কাঠুরিয়ার কুড়াল
তোমার রজ্জুগুলোকে রেহাই দিয়েছে
মরুশ্বাপদ আর বন।
কিন্তু আমি নির্বাসিত একজন।
তোমার চোখগুলো দিয়ে আমাকে মুড়ে দাও
তুমি যেখানেই থাক আমাকে নিয়ে যাও –
তুমি যেই হও আমাকে নিয়ে যাও।
আমাকে মনে করিয়ে দাও চেহারার রং
আর দেহের উত্তাপ,
আঁখি আর হৃদয়ের আলো,
রুটি আর রিদমের নুন,
মৃত্তিকার স্বাদ… মাতৃভূমি।
তোমার চোখগুলো দিয়ে আমাকে হেফাজত কর।
আমাকে নিয়ে যাও
তার চোখগুলো ফিলিস্তিনি;
তার নামটা ফিলিস্তিনি;
তার স্বপ্ন আর দুঃখগুলো;
তার চাদর, তার পা আর তার শরীর;
তার শব্দগুলো আর তার নৈঃশব্দও ফিলিস্তিনি;
তার জন্ম… তার মৃত্যু।
আমি তোমাকে বয়ে বেড়িয়েছি আমার পুরনো নোটখাতায়;
তুমি ছিলে আমার কবিতাগুলোর আগুন,
আমার সফরগুলোর খোরাকি।
তোমার নামে আমি উপত্যকাগুলোয় চিৎকার করেছি:
“আমি রোমকদের ঘোড়াগুলোকে জানি
যদিও যুদ্ধক্ষেত্র পাল্টে গেছে।
বজ্রপাতের ব্যাপারে সাবধান
আমার গানগুলো গ্রানাইটে উৎকীর্ণ।
আমি হচ্ছি তারুণ্যের আগুন আর নাইটদের নাইট।
আমি মূর্তিভঙ্গকারী।
আমার কবিতাগুলো ঈগল
পাক খায় লেভান্তীয় সীমানাগুলোর ওপর।”
তোমার নামে আমি শত্রুর দিকে চেঁচিয়ে বলেছি:
পিঁপড়ার ডিম থেকে জন্ম হয় না ঈগলের,
আর একটা সাপের ডিমের খোলস
একটা সাপকেই লুকিয়ে রাখে।
আমি রোমকদের ঘোড়াগুলোকে জানি,
কিন্তু আমি এও জানি যে
আমি হচ্ছি তারুণ্যের আগুন আর নাইটদের নাইট!
আমি তোমাকে দেখেছি বালিতে আর লবনে।
তোমার রূপ ছিল মৃত্তিকা, শিশু আর জেসমিনের।
আমার চোখের পাপড়ি থেকে একটা চাদর বুনব
আর তা অলঙ্কৃত করব কবিতায়,
তোমার চোখগুলোর জন্য
আর একটা নামে যা,
তোমার প্রেমে গলে যাওয়া একটা হৃদয়
দিয়ে ধুইয়ে দেয়া হলে,
গাছগুলোকে আবার সবুজ করে তুলবে।
আমি একটা বাক্য লিখব
আর একটা নামে যা,
তোমার প্রেমে গলে যাওয়া একটা হৃদয়
দিয়ে ধুইয়ে দেয়া হলে,
গাছগুলোকে আবার সবুজ করে তুলবে।
আমি একটা বাক্য লিখব
যা শহিদান আর চুমুর চেয়েও প্রিয়:
“ফিলিস্তিনি ছিল আমার দয়িতা,
“ফিলিস্তিনি ছিল আমার দয়িতা,
এখনো তাই আছে!”
আর দেখতে পেয়েছিলাম একটা বিকলাঙ্গ চাঁদ।
আমি রাত্রিকে বললাম: “চলে যাও
অন্ধকারের বেড়া পেরিয়ে চলে যাও!
বিজলি আর শব্দের সাথে আমার সভা আছে।”
তুমি আমার কুমারি উদ্যান
যে-পর্যন্ত আমাদের গান
খাপ খোলা তলোয়ার যেন।
বীজের মত বিশ্বস্ত তুমি
যে-পর্যন্ত আমাদের গান
পরিপুষ্ট করে রাখে ভূমি…
তুমি একটা রুহানি তালগাছ
কাটতে পারে না যাকে হাওয়া, কাঠুরিয়ার কুড়াল
তোমার রজ্জুগুলোকে রেহাই দিয়েছে
মরুশ্বাপদ আর বন।
তোমার চোখগুলো দিয়ে আমাকে মুড়ে দাও
তুমি যেখানেই থাক আমাকে নিয়ে যাও –
তুমি যেই হও আমাকে নিয়ে যাও।
আমাকে মনে করিয়ে দাও চেহারার রং
আর দেহের উত্তাপ,
আঁখি আর হৃদয়ের আলো,
রুটি আর রিদমের নুন,
মৃত্তিকার স্বাদ… মাতৃভূমি।
তোমার চোখগুলো দিয়ে আমাকে হেফাজত কর।
আমাকে নিয়ে যাও
দুঃখপ্রাসাদের
একটা স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে
আমাকে নিয়ে যাও
আমাকে নিয়ে যাও
একটা খেলনা হিসেবে, বাড়ির একটা ইট
যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা
যেন আমাদের ছেলেমেয়েরা
ফিরে আসার কথা মনে রাখে।
তার চোখগুলো ফিলিস্তিনি;
তার নামটা ফিলিস্তিনি;
তার স্বপ্ন আর দুঃখগুলো;
তার চাদর, তার পা আর তার শরীর;
তার শব্দগুলো আর তার নৈঃশব্দও ফিলিস্তিনি;
তার জন্ম… তার মৃত্যু।
আমি তোমাকে বয়ে বেড়িয়েছি আমার পুরনো নোটখাতায়;
তুমি ছিলে আমার কবিতাগুলোর আগুন,
আমার সফরগুলোর খোরাকি।
তোমার নামে আমি উপত্যকাগুলোয় চিৎকার করেছি:
“আমি রোমকদের ঘোড়াগুলোকে জানি
যদিও যুদ্ধক্ষেত্র পাল্টে গেছে।
বজ্রপাতের ব্যাপারে সাবধান
আমার গানগুলো গ্রানাইটে উৎকীর্ণ।
আমি হচ্ছি তারুণ্যের আগুন আর নাইটদের নাইট।
আমি মূর্তিভঙ্গকারী।
আমার কবিতাগুলো ঈগল
পাক খায় লেভান্তীয় সীমানাগুলোর ওপর।”
তোমার নামে আমি শত্রুর দিকে চেঁচিয়ে বলেছি:
পিঁপড়ার ডিম থেকে জন্ম হয় না ঈগলের,
আর একটা সাপের ডিমের খোলস
একটা সাপকেই লুকিয়ে রাখে।
আমি রোমকদের ঘোড়াগুলোকে জানি,
কিন্তু আমি এও জানি যে
আমি হচ্ছি তারুণ্যের আগুন আর নাইটদের নাইট!