গাজোল:- পণের দাবিতে এক গৃহবধূকে ঘরবন্দী করে প্রানে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। ওই গৃহবধূ বর্তমানে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বলে জানা যায়। জানা যায় ওই গৃহবধূর নাম রমা বিশ্বাস (৩৫) তার স্বামী গৌতম বিশ্বাস বাড়ি মালদহের গাজোল ২ নম্বর অঞ্চলের মশালদিঘি এলাকায় ।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে রমা বিশ্বাস প্রায় ১৮ বছর পূর্বে গাজোল ২ নম্বর অঞ্চলের মশালদিঘি গৌতম বিশ্বাসের সাথে হিন্দু ধর্ম মতে বিবাহ হয়। তাদের সংসারে এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে আমার মেয়েকে নানা ভাবে নির্যাতন করে। আমরা মেয়েকে সংসার করার জন্য পরামর্শ দেয়। আমার মেয়ে ধৈর্য সহকারে সংসার করছিল ।আজ তার ছেলে মেয়ে স্কুলে যায় সেই ফাঁকে আমার মেয়েকে বাবার বাড়ি থেকে প্রচুর পরিমাণ টাকা নিয়ে আসার কথা বলে আমার মেয়ে টাকা নিয়ে আসতে পারবে না বলাতে তাকে ব্যাপক ভাবে মারধর করে এবং প্রাণে মারার চেষ্টা করে।তার চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে গাজোল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তার অবস্থা খারাপ বুঝে গাজোল হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার বাবুরা তাকে মালদা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠায়।
Related Articles
ঘরের বিছানায় রক্ত পড়ে আছে এবং যে ব্যাট দিয়ে আমার মেয়েকে মারা হয়েছে সেই ব্যাট পরে রয়েছে। সেখান থেকে আমার আত্মীয় এবং ছেলে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছুটে যায়। বর্তমানে সে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। গাজোল থানায় এসে রমা বিশ্বাসের স্বামী গৌতম বিশ্বাস। গৌতম বিশ্বাসের ভাই উত্তম বিশ্বাস এবং রমার শাশুড়ি বাসন্তী বিশ্বাস এদের বিরুদ্ধে গাজোল থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগ পেয়ে ঘটাস্থলে ছুটে যায় গাজোল থানার পুলিশ। গাজোল থানা পুলিশ এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা যায়।