The post মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো। first appeared on Ask Master and is written by Ask Master.
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার গঠন [Composition of the United States Cabinet]: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভা বা ক্যাবিনেট প্রথাগত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীসভার কোন আইনগত স্বীকৃতি নেই। মার্কিন রাষ্ট্রপতি ওয়াশিংটনের আমল থেকে ক্যাবিনেট প্রথার সূত্রপাত হয়। ১৭৯৩ সালে সর্বপ্রথম ‘ক্যাবিনেট’ (Cabinet) কথাটি প্রয়োগ করা হয়। সাধারণতঃ কতকগুলি দপ্তরের কর্মকর্তাকে নিয়ে ক্যাবিনেট গঠিত হয়। রাষ্ট্রপতির কর্মসচিবদের নির্বাচন করার কোন নির্দিষ্ট পদ্ধতি নেই। রাষ্ট্রপতি নিজের ইচ্ছানুযায়ী ক্যাবিনেট গঠন করেন। সিনেটের অনুমোদনক্রমে রাষ্ট্রপতি চার বছরের জন্য ১৫ জন বিভাগীয় কর্মসচিবকে নিয়োগ করেন এবং প্রয়োজনবোধে রাষ্ট্রপতি তাঁদের পদচ্যুত করতে পারেন।
আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাবিনেট দপ্তরে বর্তমানে ১৫টি (2021) শাসন বিভাগীয় দপ্তরের কর্মসচিব হলেন —
- পররাষ্ট্র সচিব (Secretary of State) — Antony Blinken
- অর্থসচিব (Secretary of Treasury) — Janet Yellen
- প্রতিরক্ষা সচিব (Secretary of Defense) — Lloyd Austin
- অ্যাটর্নি জেনারেল (Attorney General) — Merrick Garland
- শক্তি সচিব (Secretary of Energy) — Jennifer Granholm
- অভ্যন্তরীণ দপ্তর সচিব (Secretary of Interior) — Deb Haaland
- কৃষি সচিব (Secretary of Agriculture) — Tom Vilsack
- বাণিজ্য সচিব (Secretary of Commerce) — Gina Raimondo
- শ্রম সচিব (Secretary of Labor) — Julie Su
- শিক্ষা সচিব (Secretary of Education) — Miguel Cardona
- স্বাস্থ্য ও মানবিক পরিষেবা সচিব (Secretary of Health and Human Services) — Xavier Becerra
- গৃহনির্মাণ ও নগরোন্নয়ন সচিব (Secretary of Housing and Urban Development) — Marcia Fudge
- পরিবহন সচিব (Secretary of Transportation) — Pete Buttigieg
- ভেটেরান্স বিষয়ক সচিব (Secretary of Veterans Affairs) — Denis McDonough
- মাতৃভুমির নিরাপত্তা সচিব (Secretary of Homeland Security) — Alejandro Mayorkas
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার কার্যাবলী [Functions of the United States Cabinet]
ক্যাবিনেটের প্রত্যেক সদস্যকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ পালন করতে হয়। ক্যাবিনেট সদস্যগণ রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রত্যেক সপ্তাহে একবার করে ক্যাবিনেটের বৈঠক বসে। বৈঠকে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় এবং রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই চরম সিদ্ধান্ত। ক্যাবিনেটের কোন সম্মিলিত অস্তিত্ব নেই। কোন বিষয়ে ভোট গ্রহণের প্রয়োজন হয় না।
প্রত্যেক সদস্য পৃথকভাবে রাষ্ট্রপতির নিকট দায়িত্বশীল। রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ করেন, ইচ্ছা করলে কোন সদস্যকে বিদায় দিতে পারেন। তাঁর ইচ্ছানুযায়ী তিনি মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে কোন পরামর্শ না করেই শাসনকার্য পরিচালনা করতে পারেন। কার, বার্নস্টাইন ও মারফির মতে, মার্কিন ক্যাবিনেটের শাসন নীতি বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন যৌথ ক্ষমতা বা যৌথ দায়িত্ব নেই। ক্যাবিনেট সভায় রাষ্ট্রপতির প্রাধান্য স্বীকৃত হয়। ক্যাবিনেট সদস্যগণ কেউ কংগ্রেসের সদস্য হতে পারবেন না।
ব্রিটেনের ন্যায় মার্কিন ক্যাবিনেটের কোন যৌথ সত্তা নেই। সুতরাং মার্কিন ক্যাবিনেটের সদস্যগণ রাষ্ট্রপতির ছায়াতে বাস করে থাকেন। সংশ্লিষ্ট বিভাগ সম্পর্কে সদস্যগণ রাষ্ট্রপতিকে তথ্য সরবরাহ করেন। সংবাদপত্র ও সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে জনমত গঠন ছাড়া সরকারী কাজে সহায়তা করে থাকেন। তাছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের মধ্যে সহযোগিতা স্থাপন করে কোনো নীতিকে কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। সুতরাং ক্যাবিনেট মতামত বিনিময়ের দপ্তর হিসাবে মার্কিন শাসন ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে।
সামগ্রিক বিচারে একথা বলা যায় যে, মন্ত্রিসভা একটি রাজনৈতিক সংস্থা। সংবিধানের আক্ষরিক কাঠামোর মধ্যে মার্কিন ক্যাবিনেটের ভূমিকার মূল্যায়ন সম্ভব নয়। ক্যাবিনেট কি ভূমিকা গ্রহণ করবে তা রাষ্ট্রপতির দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে। ক্যাবিনেট সচিবগণ রাষ্ট্রপতিকে মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে শাসন নীতির উৎকর্ষ ঘটাতে পারেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলা যায়।
The post মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রিসভার গঠন ও কার্যাবলী আলোচনা করো। first appeared on Ask Master and is written by Ask Master.