মাশয় রোগের চিকিৎসা : ব্যাসিলারি আক্রান্ত রোগীদের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ওষুধের প্রয়োজন হয় না। এই ধরনের আমাশয় সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যায় । এ ক্ষেত্রে পানিশূন্যতা পূরন করতে প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ জল বা "রিহাইড্রেশন" পানীয় পান করতে হবে। বিসমথ সাবসিলিকেট মতো মেডিসিন ডায়রিয়ার মতো উপসর্গগুলি দূর করতে পারে। ব্যাথাজনিত সমস্যা সমাধানের জন্য এসিটামিনোফেন এর মতো ব্যথা রিলিভারও ব্যবহার করা যায়। যদি কিছুদিনের মধ্যে ঠিক না হয় তখন ডাক্তারের পরামর্শে অ্যান্টিবায়োটিকের সাহায্যে চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। অ্যামিবিক আমাশয়টি মেট্রোনিডাজল (ফ্ল্যাগিল) বা টিনিডাজল (টিনডাম্যাক্স) দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। পরজীবীদের হত্যা করার জন্য এরা কার্যকরী। দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় এর যন্ত্রণা লাঘব করার জন্য অনেক ধরনের ঔষধ আছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ খাওয়া যাবেনা । অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ঔষধ সেবন করতে হবে। আমাশয় প্রতিরোধে করণীয় : আমরা সবাই জানি প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ উত্তম। তাই নিম্নোক্ত প্রতিরোধ গুলো মেনে চললে আমাশয় থেকে দূরে থাকা সম্ভব। • সবসময় বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে এবং দাঁত ব্রাশ করার সময়ও বিশুদ্ধ পানি ব্যাবহার করতে হবে। • মলত্যাগের পরে হাত বিশুদ্ধ পানি ও হ্যান্ডওয়াস বা সাবান দিয়ে ভালো করে ধোয়া। • খাবার গ্রহণের পূর্বে এবং রান্না করার আগে অবশ্যই হাত পানি ও হ্যান্ড ওয়াশ বা সাবান দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে। • বাইরের খাবার কম খেতে হবে। • খোসাযুক্ত ফল বা সবজি খাওয়ার পূর্বে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। • ব্যবহৃত পোশাক, তাওয়াল হালকা গরম পানি ও ডিটারজেন্ট পাওডার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। • একজনের তাওয়াল আরেকজনের ব্যাবহার করা যাবে না। • শিশুদের হাত ধোয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে জানাতে হবে। • সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার সময় পানি গিলে ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। • অসুস্থ শিশুর ডায়াপার পরিবর্তন করার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।