নিজস্ব প্রতিবেদন: যদি একই মন্দিরে মেলে মা কালী শ্রীকৃষ্ণকে তাহলে তো সেই মন্দিরে একবার হলেও পা দিতে হয় ভক্তদের। এরকমই একটি মন্দির আছে কলকাতা শহর থেকে সামান্য দূরে। ভক্তদের বিশ্বাস সেই মন্দিরে গেলেই নাকি পূরণ হয় মনের আশা। অনেকেই সারাহানের সতী পিঠ মা ভীমকালী মন্দির দর্শন করেছেন। অনেকেই শুনেছেন বানাসুরের কাহিনী। স্পিতি ভ্যালী বেড়াতে এসেছেন আর সারাহান আসেননি এই রকম হয়ত অনেক কম জনই আছেন। তবে, জানেন কি সারাহানের এক পৌরাণিক গুরুত্ব আছে?
Related Articles
তখন এর নাম ছিল শনিতপুর, বানাসুরের রাজধানি ছিল এই জায়গা। মহাদেবের ভক্ত বানাসুর এক সময় শ্রী কৃষ্ণের পৌত্র অনিরুদ্ধকে বন্ধি করে রেখেছিলেন তাঁর সুন্দরি কন্যা ঊষার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য। সেই কথা জানতে পেরে শ্রী কৃষ্ণ বানাসুরের রাজ্য আক্রমন করেন, কিন্তু বাবা শিবের ভক্ত বানাসুরকে রক্ষা করতে স্বয়ং বাবা আসেন শ্রী কৃষ্ণের সাথে যুদ্ধ করতে। ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়। কিন্তু শ্রী কৃষ্ণের কৌশলে বাবা শিবকে ঘুম পাড়িয়ে যখন শ্রী কৃষ্ণ বানাসুরের সব কটা হাত কেটে তাঁর মাথা কাটার জন্য উধত হন তখন বাবা শিব জেগে গিয়ে বানাসুরকে প্রানে মেরে ফেলার থেকে রক্ষা করেন।
ভুল স্বীকার করে বানাসুর, অনিরুদ্ধ এবং ঊষার বিবাহ দেন এবং শ্রী কৃষ্ণ তাঁর রাজ্য তাকে ফিরিয়ে দেন। সারাহানের এই কাহিনীর সাথে মা ভীমকালীর অবস্থান এই জায়গার গুরুত্তকে আরও বাড়িয়ে তোলে। সতী মায়ের কান এখানে পড়েছিল তাই বলা হয় ভক্তের মনবাঞ্ছা সরাসরি মায়ের কানে পৌঁছায়। সেই জন্য এই মন্দির খুবই জাগ্রত। আপনারা স্পিতি ভ্যালী ঘুরতে এলে সারাহানকে বাদ দেবেন না কারন মা ভীমকালীর দর্শনের সাথে শ্রীখণ্ড মহাদেব পর্বত শৈলী সব থেকে ভাল এখান থেকেই দেখা যায়।