Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

দৃক দৃশ্য বিবেক 1

স্যার দশরথের ছেলে মঞ্জুল । বখাটে লেলে বেলে ছেলে , কিন্তু ঐশর্য শালী এই বিজনেস টাইকুনের স্বস্তি নেই ।ছেলে মানুষ তো হলোই না যদি কোনো ভাবে ১২ ক্লাস পাস করে । ১৮ ছেড়ে ১৯-এ গেলো তবুও শুভ বুদ্ধির উদয় হলো না । খেলার যে কি নেশা , দিন রাত শুধু এক্স বক্স নিয়ে ।দশরথের বাবা কিন্তু প্রতিভাধর মেধাবী পন্ডিত ছিলেন । বিড়ি বাঁধার ব্যবসা পৈতৃক হলেও জাতে তারা সাগ্নিক ব্রাহ্মণ ছিলেন । স্যার উপাধি বিড়ি খেয়েই লর্ড কার্জন দিয়েছিলেন শোনা যায় কিন্তু ইতিহাসে এর কোনো অস্তিত্ব নেই । বিড়ি বাধা ছাড়াও যে ব্যবসায় তিনি অগুনিত লক্ষীর কৃপা লাভ করেছিলেন তা হলো বাস । তার ৩০ টি বাস সারা ভারতে তীর্থ যাত্রী পরিভ্রমণ করায় । লক্ষী বিড়ি , লক্ষী ট্রাভেলস, লক্ষী কাটরার, , আর শেষে লক্ষী ভান্ডার আর অনুগত চাকরের সংখ্যা জনা ৫০ হবে ।

অপালা দেবীর পরিচিতি তিনি কলকাতার মিডল স্কুলের ইংলিশের অধ্যাপিকা । কিন্তু স্বামীর দুরারোগ্য ব্যাধির খরচ মেটাতে গিয়ে তিনি প্রায় সর্বশান্ত । এক পুত্র দেবসিন্ধু সে এখনো নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেনি -বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র -ইকোনোমিক্স নিয়েই ঘষা মজা করছে – যদি চমকাতে পারে -তেমন যে বিশেষ আশার আলো আছে তাও না – সে সিন্ধুতেই নিমজ্জিত প্রায় । তাই ছেলের খরচ জুগিয়ে স্বামী কে দেখে উঠতেই তিনি হিমশিম খাচ্ছেন । এক রকম বাধ্য হয়েই এই বিলাসপতি দশরথের অবাস্তব গৃহশিক্ষকতা গ্রহণ করলেন । তার পাগল ছেলেটিকে ১২ ক্লাস পাস করাতেই হবে । তার ইংলিশ এ পাশ করা দূরের কথা , ১০০ মিটার ধারে কাছে তার সে দক্ষতা নেই যে এক টা লাইন আস্ত লেখে । পলিটিকাল সাইন্স , আর্টস , লিটারেচার কোনো রকমে ঠেলে ৩০ টা নম্বর জোগাড় হলেও হতে পারে । তাই ভেবে দশরথ রাই অপলা দেবীর পদ প্রান্তে দ্বারস্থ হয়েছিলেন । অন্য শিক্ষক সে সাহস করেন নি । কারণ মঞ্জুলের ১২ ক্লাস পাশ করা অসম্ভব ।

স্যার দশরৎ কেতবিয়ানাতে দেশি । লক্ষ লক্ষ টাকা বাড়িতে পচে গেলেও একটা ধুতি পড়েন , আর উপর খাদির হাত কাটা পাঞ্জাবি । জামা প্যান্ট পড়া তার আবার ধাতে সয় না । সর্ষের তেল গায়ে মাখেন । উৎকট তার গন্ধ । কিন্তু আবার দামি জেসমিনের আতর তুলোয় লাগিয়ে কানে গুঁজে রাখা তার অভ্যাস । স্যার দশরথের স্ত্রী কিন্তু সাক্ষাৎ মা অন্নপূর্ণা ।দান ধ্যান , পূজা অর্চনা এসব ছাড়া আর তার কোনো পৃথিবী নেই । সে পৃথিবীতে উঁকি মারার অভ্যাস নেই স্যার দশরথ-এর । পৈতে পাকাতে পাকাতে কানাই তার সাগরেদ এর সাথে বাঘবন্দী খেলায় তার বেশি আগ্রহ । লোকে স্যার বলে তাই তার একান্ত ইচ্ছা ছেলেটা অন্তত ১২ ক্লাস পাশ করুক । বাড়ি বানাতে তার কম পয়সা খরচ হয় নি । দক্ষিণ চলচিত্রের কোটা বাড়ি গুলোকে হার মানিয়ে দেয় তার বাড়ি । কিন্তু রোজ সকালে মালির মতো মাথা গামছা বেঁধে গাছে জল দেয়া তার স্বভাব । আর যেটা অপালা দেবীর চরম অসহ্য লাগে তা হলো ক্ষণিকে ক্ষণিকে খেচিয়ে ওঠা দশরথের মুখের অশ্লীল খিস্তি । চাকর বাকরদের মনে হয় এসব সহ্য হয়ে গেছে । না হলে সবাই চুপ থাকে কি করে ? অপালা দেবী এমন অদ্ভুত গজখিচুড়ি পরিবেশ দেখেন নি । মাইনে নেহাত কম নয় । তার মাসের আয়ের চেয়ে একটু বেশি বলা যায় । লেডি ব্রেবোনে তিনি পাশ করেছিলেন ১৯৮৯ সালে । বয়স ৪৬ ছুঁই ছুঁই । গাম্ভীর্যে আর শাড়ির কোঁচায় জাদরেল অনেক অফিসের আধিকারিকের বুক কেঁপে উঠবে । মুখে চশমা , আর হালকা সাজ পোশাকে একটু হালকা লিপস্টিক , উগ্রতা নেই । তবে অভিজাত্যই ধরা পরে ঠিক যেমন প্রধান শিক্ষিকা হয় সেরকমই । গোছানো চেহারায় অশালীনতা কে কোনো দিন জায়গাই দেন নি । দীর্ঘদিন স্বামীর অসুস্থতার জন্য শরীরে ঠাট তার কমেনি এক চুল । লোলুপ দৃষ্টিতে লুকিয়ে তারই শরীরের আঁচে হাত পা সেঁকে নিয়েছেন দশরৎ । সে বিকৃত পিচাশ নয় । এটাকে স্যার দশরথের ফ্যান্টাসি বলা যায় ।

চমক ভাঙলো অপালা দেবীর । বিকট একটি চিৎকার ।
” বানচোদ গুলো কি বসে বসে মাগনা খাবি , পয়সা দিতে হয় না মাস গেলে গুনে , বেরোবো তো মুৰুব্বির সাথে দেখা করতে গাড়ি টা কি তোর বাপের নাং এসে ধুয়ে দেবে! গোতোর টা নাড়া রে ইতর । ”

বিরক্ত হয়ে দেখলেন মঞ্জুলের দিকে- মঞ্জুল পেনটা মুখে নিয়ে চেবাচ্ছে, মন নেই পড়াতে । দিদিমনিকে ভয় করে । কে বলবে দাড়ি গোঁফ ওয়ালা ছেলে এমন । নাহ আজ যাবার সময় ডেকে বলবেন স্যার দশরথ কে । এমন গালাগালি দিলে তিনি আর আসবেন না ।

কি ভেবে পড়ার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন অপালা । ” এই যে স্যার দশরথ শুনবেন একটু এদিকে !”

খালি গায়ের গামছায় হাত টা পুঁছতে পুঁছতে এগিয়ে বললেন ” হ্যাঁ দিদিমনি বলেন !”
আপনি এমন অসভ্য মুখের ভাষা ব্যবহার করেন কেন ? আমি এরকম বাড়ির পরিবেশ হলে আসবো না !”

অনেক ক্ষণ মুখের দিকে পিট্ পিট্ করে তাকিয়ে কুঁজো হয়ে বিনতি না থাকলেও নিয়ে হাত জোর করে স্যার দশরথ বললেন ” তা মুখ খারাপ করবো না বলছেন ? এই সুমুন্দি গুলো কে ?”
মুখ বিরক্ত করে অপালা দেবী বললেন ” না করবেন না !”

ঘাড় নাড়লো স্যার দশরথ ” বেশ করবো না ” ।
কিছুক্ষন পর সেদিনের মতো বেরিয়ে এলেন মঞ্জুল দের বাড়ি থেকে ।

The post দৃক দৃশ্য বিবেক 1 appeared first on Bangla Choti.



This post first appeared on Bangla Choti বাংলা চটি, please read the originial post: here

Share the post

দৃক দৃশ্য বিবেক 1

×

Subscribe to Bangla Choti বাংলা চটি

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×