Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

শাওয়াল মাসের প্রথম খুৎবা:ইমাম সাহেব যা বললেন----

Tags:
শাওয়াল মাসের প্রথম খুৎবা:ইমাম সাহেব যা বললেন----







সকল মুসলমান ভাই-বোনকে জানাচ্ছি,পবিত্র জুমার দিনের মোবারকবাদ।জুমা মোবারক।প্রবিত্র জুমার দিন প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জীবনে অত্যন্ত ফযিলতময়।আজ ২২ জুন,২০১৮ ।পবিত্র শাওয়াল মাসের প্রথম খুৎবা।পবিত্র জুমার দিনের ফযিলত এই ইহকালের জীবনে  যৎসামান্য হলেও হাসিল করার আশায় প্রতি জুমার দিনে এই নরাধম আযান হওয়ার আগেই মসজিদে হাজিরা দেওয়ার চেষ্টা করি।আল্লাহ সুবহানা তায়ালার কাছে লাখো কোটি শোকরিয়া জানাচ্ছি আজকেও আমাকে পবিত্র জুমার নামাজ আদায়ের তওফিক দান করার জন্য।  সর্বকালের  শ্রেষ্ঠ নবী ,সাইয়্যেদুল মুরসালীন ,মানবতার মুক্তির পথ-প্রদর্শক মুহম্মদ(সা:) এর উপর  হাজার লাখো কোটি দরুদ পেশ করছি।অত্যন্ত আদবের সাথে ও ধৈর্য্য সহকারে শ্রদ্ধেয় ইমাম সাহেবের আজকের নির্ধারিত খুৎবার বাংলায় তরজমা ও তাফসীর শুনলাম।বয়সে তরুন ইমাম সাহেব জনাব মাওলানা মহিউদ্দিন সিকদার অত্যন্ত সাবলীল ভাষায় খুৎবার বিষয়বস্তু  আলোচনা করলেন।ইমাম সাহেব বন্দরনগরী চট্টগ্রামের আগ্রাবাদস্থ আবিদরপাড়া কাঠের মসজিদের সম্মানিত খতিব। আল্লাহ তায়ালা যেন এমন দায়িত্ববান আলেমদের হায়াৎ বৃদ্ধি করে দেন-আমীন।আজকের খুৎবায় ইমাম সাহেব মূলত তিনটি(০৩টি) বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছেন।
  • প্রথমত তিনি পবিত্র কোরাআন শরীফের সূরা নিসা-এর একটি আয়াত তেলাওয়াত করলেন।এবং তেলাওয়াতকৃত আয়াতের বাংলা তরজমা করলেন।পরে ধাপে ধাপে উক্ত আয়াতের তাফসীর করলেন।আয়াতের মূলকথা হলো আমরা শেষ নবী(সা:) এর গুনাহগার উম্মতগন জান্নাতে মহান আল্লাহ তায়ালার আম্বিয়া কেরামের সাথে থাকার তওফিক দান করব যদি আমরা আমাদের প্রিয় নবী মুহম্মদ(সা:) এর প্রতি যথাযথ মহব্বত প্রদর্শন করে তাঁর দেখানো পথে আমাদের এই ব্যক্তি জীবন,পারিবারিক জীবন,সমাজ জীবন তদুপরী আমাদের রাস্ট্রীয় জীবন অতিবাহিত করতে পারি।সুবহানআল্লাহ।হযরত আদম(আ:) থেকে শুরু করে শেষ নবী হযরত মুহম্মদ (সা:) পর্যন্ত সকল নবী-রাসূল আল্লাহর পরম নেয়ামত আমাদের জন্য।তাঁরা আসমান জমীনের মালিক এক আল্লাহর ইবাতদ করতেন  এবং তাঁদেরও ধর্ম ইসলাম।শেষ নবীর প্রতি আমাদের সর্বোচ্চ প্রেম প্রদশর্ন  করা আবশ্যিক ।আমাদের এই জীবন,জীবনের প্রয়োজনীয় সম্পদ ,স্ত্রী-পরিজন,সন্তান-সন্তুতি এইসবের থেকে বেশী ভালোবাসতে হবে  নবীর দেখানো পথকে। 


  • দ্বিতীয়ত ইমাম সাহেব পবিত্র হাদিসের আলোকে আমাদের জীবনে নবীর আবশ্যিক সুন্নাহ গুলোকে মেনে চলার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করলেন।মুসলমান আর অবিশ্বাসীদের  জীবনধারার  মধ্যে ৫টি পার্থক্য প্রতিয়মান হতে হবে।একজন মুসলমানকে খৎনা করাতে হবে।তার নাভীর নিচের অবাঞ্চিত লোম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন্ রাখতে হবে।গোঁফ ছোট করে ছেঁটে রাখতে হবে পক্ষান্তরে তার দাঁড়ি লম্বা রাখতে হবে।বগলের লোমও যথাসময়ে  পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।এবং পরিশেষে হাত ও পায়ের নখ কেটে নিতে হবে।আমরা যদি আমাদের ব্যক্তি জীবনে প্রিয় নবীর সুন্নাহগুলো অনুসরণ করে চলতে না পারি তবে আমাদের নবী প্রেম হবে লোক দেখানো।যা অত্যন্ত গর্হিত কাজ।
  • তৃতীয়ত বা পরিশেষে ইমাম সাহেব সহীহ হাদিসের আলোকে এই শাওয়াল মাসের ৬টি নফল রোযার ফজিলত বর্ণনা করলেন।উম্মতগনের মধ্যে যে কেউ এই ৬টি নফল রোযা রাখবে সে যেন বিগত এক বছর রোযা রাখার সওয়াব লাভ করবে।সুবহানআল্লাহ।তবে ইমান সাহেব বললেন আমাদের মধ্যে যারা পবিত্র রমযান মাসের ফরয রোযা পালন করেছি তারা যেন এই রোযা রাখে তবেই বেশী উত্তম্।কিন্তু আমরা যদি ফরয রোযা  রাখতে অসমর্থ হয় তবে আমাদের আগে অবশ্যই ফরয রোযার কাফফারা দিতে হবে।আমরা নফল ইবাদতের প্রতি অবশ্যই গুরুত্ব দেবো কিন্তু প্রথমে আমরা আমাদের উপর মহান আল্লাহর অর্পিত ফরয দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করব।ইনশআল্লাহ।


This post first appeared on Private Coaching From Class Two To Class Five Within Minimum Cost By Ershad Sir., please read the originial post: here

Share the post

শাওয়াল মাসের প্রথম খুৎবা:ইমাম সাহেব যা বললেন----

×