Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

লাল কেল্লা - প্রমথনাথ বিশী Lal Kella pdf by Pramathanath Bishi

লাল কেল্লা pdf download প্রমথনাথ বিশী Lal Kella pdf by Pramathanath Bishi download link


ভুমিকা মানুষকে যেমন ভূতে পায় আমাকে তেমনি দিল্লিতে পেয়েছিল। পেয়েছিল বা বলি কেন, দিল্লির ভূত এখনাে আমার ঘাড় থেকে সম্পূর্ণ নামে নি। আবার কোনদিন নিশ্চয় কলম হাতে দিল্লির প্রসঙ্গে ফিরে আসতে হবে। কিছুই বিশয়েয় নেই এতে। দিল্লির কি একটি রহস্যময় দুর্বার আকর্ষণ : আছে, যার টানে কালে কালে পৌরাণিক, ঐতিহাসিক ও আধুনিক কালেচন্দ্রবংশের নৃপতিগণ, হিন্দুরাজগণ, পাঠান, মূষল, ইংরেজ ও স্বাধীন ভারতের সরকার দিপ্তিতে শাসনের আসন পেতেছে। সেই আকর্ষণে লামায় একজন লেখকের চিত্ত যে মুগ্ধ হবে এ তাে খুবই স্বাভাবিক। 
এই উপন্যাসের যথার্থ নায়ক শাহজাহানাবাদ ও লালকেল্লা। নিজের কথা বলা অশােভন হলেও এ প্রসঙ্গে অপরিহার্য। অনেক কাল আগে চাঁদনিচকে একাকী ঘুরতে ঘুরতে আজকার দিনের জনসংখট হঠাৎ কি ভাবে লেখকের চোখে অনেক যুগ আগেকার জনসংঘষ্ট্রে রূপান্তরিত হ’লএ যুগের লেখক সেই যুগের একজন পথিকে পরিণত হয়ে গেল। কোন অঙ্গে জাদুমরে কালস্রোতের উজান ঠেলে সেকালে গিয়ে পৌছলাে—লে অভিজ্ঞতা কখনাে ভুলবার নয়। দেশকালের এই বিভ্রান্তি অনেক দিন তাকে মােয়র অবস্থায় রেখেছিল, এখন দিল্লিতে গেলে সেইরকম মােহাচ্ছন্ন ভাব পেয়ে বসে। এই অভিজ্ঞতার মধেই লালকেল্লা উপন্যাসের বীজ নিহিত ছিল। হােট মুখে বড় কথা বলা যদি অপরাধ গণ্য না হয় তবে বলতে পারি, ঐতিহাসিক পবন একদা য়ােম নগরীর ভগ্নাবশেষের মধ্যে দাড়িয়ে মােহাচ্ছন্ন অবস্থায় নােম সাম্রাজের উখান ও পতনের ইতিহাস লিখবার সঙ্ক করেছিলেন। বর্তমান লেখক গীবন নয়, আর এই কাহিনীও সেই অমর ইতিহাস গ্রন্থ নয়-তবু গােড়ায় দুয়ে মিল আছে, একই শ্রেণীর অভিজ্ঞতার মধ্যে। 
ইতিহাসের উল্লেখে মনে পড়লো লে ঐতিহাসিক উপন্যাসের প্রকৃতি সম্বন্ধে দু’চার কথা বলা আবশ্যক। বলা বাহুল্য খঝিমচন্দ্রের ঐতিহাসিক উপন্যাসের রীতি বর্জন লেখক অনুসরণ করতে চেষ্টা করেছে কি বচিন্দ্রের 
প্রতি তাে সাধারণ মানুষে সম্ভব নয়। বঙ্কিমচন্দ্রের সময়ে ভারতীয় ইতিহাস গ্রন্থের সংখ্যা অত্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। তিন-চারখানা ইতিহাস গ্রন্থের উপরে নির্ভর করে যে ইতিহাসের সত্যে তিনি উপনীত হ’তে সক্ষম হয়েছিলেন তার মূলে তাঁর দিব্য প্রতিভা। এখন ইতিহাস গ্রন্থ সুপ্রচুর, প্রতিভা না থাকলেও নিষ্ঠা ও অধ্যবসায় যােগে লেখকের পক্ষে ইতিহাসের সত্যে পৌছানাে একেবারে অসম্ভব নয়। 
 বমিচন্দ্র নিজে রাজসিংহকে একমাত্র ঐতিহাসিক উপন্যাস বলেছেন। তবে পরবর্তীকালে আচার্যগণ তঁার অন্য অনেক উপন্যাসকে ও ঐতিহাসিক উপন্যাসের মর্যাদা দিয়েছেন। যদুনাথ সরকারের মতে দুর্গেশনন্দিনী ও সীতারামও ঐতিহাসিক উপন্যাস। সেই সঙ্গে ধরতে হবে চন্দ্রশেখর, আনন্দ মঠ ও দেবী চৌধুবাণীকেও। দেবী চৌধুরাণী সম্বন্ধে বঙ্কিমচন্দ্রের নিষেধাজ্ঞা সর্বজনবিদিত। এ বইখানাকে ঐতিহাসিক উপন্যাস বলে মনে করতে তিনি নিষেধ করছেন। আনন্দমঠ সম্বন্ধেও তাঁর নিষেধবাক্য প্রযোজ্য। কেন না, আনন্দমঠের সন্তান সম্প্রদায় এবং দেবী চৌধুরাণীর দেবী ও ভবানী পাঠক ইতিহাস নয়, অতীতের মধ্যে ভবিষ্যতের আরোপ। এই হচ্ছে তার নিষেধবাক্যের তাৎপর্য। তৎসত্ত্বেও যে কাঠামোর মধ্যে, সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশের মধ্যে, ভবিষ্যৎকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে নিঃসন্দেহ তা ঐতিহাসিক। চন্দ্রশেখর সর্বাংশে ইতিহাস-সম্মত এবং বইখানা তার একখানি শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক উপন্যাস। শৈবলিনীর প্রায়শ্চিত্ত প্রক্রিয়াতে বঙ্কিমচন্দ্রের অর্থাৎ ভবিষ্যতের আরোপ দেখবর প্রয়ােজন নেই, যেহেতু এক্ষেত্রে তিনি হিন্দু স্মৃতিশাস্ত্রের বিধানকে অনুসরণ করেছেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টির কৌশলে, কোম্পানীর সঙ্গে নবাবের সখ বিচারে এবং কোম্পানীর ইংরেজ কর্মচারীগণের সহিত দেশীয় লােকের সম্বন্ধ বিচারে বঙ্কিমচন্দ্র যে দিব্যদৃষ্টি দেখিয়েছেন তার ফলেই প্রকৃত ঐতিহাসিক উপন্যাসের পদবী লাভ করেছে। তারপরে ঐ পর্ব সম্বন্ধে অনেক ইতিহাস গ্রন্থ রচিত হয়েছে, তৰু উল্লেখযোেগ্য ভুল আবিষ্কৃত হয় নি চন্দ্রশেখর উপন্যাসে। সার্থক ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনার ক্ষমতা একটি বিশেষ গুণ। এ পর্যন্ত এক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্র অবিসংবাদী শ্রেষ্ঠ, একক বললেও কার হয় না। 
তবে কিনা এক হিসাবে সমস্ত উপন্যাসই ঐতিহাসিক উপন্যাস। 
বর্তমানকে অবলম্বন করে লিখলে বলি সামাজিক উপন্যাস, তবে সেই বর্তমান যখন অতীতের পর্যায়ভুক্ত হয় তখন কি তাতে ঐতিহাসিকতার আয়ােণ হয় না। মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর কালকেতু উপাখ্যানকে কেউ ঐতিহাসিক আখ্যা দেয় না সত্য, কিন্তু বাংলার যােডশ শতকের রাজনৈতিক ও সামাজিক তথ্যের ওরকম আকর আর কোথায়? বঙ্কিমচন্দ্রের সামাজিক উপন্যাস বিষবৃক্ষ অতীতের কুক্ষিগত হয়ে ইতিহাসের মর্যাদা লাভ করেছে। বিধবা বিবাহ আইন তৎকালে যে সামাজিক সঙ্কট সৃষ্টি করেছিল তার বিবরণ পাওয়া যাবে ঐ গ্রন্থে। রাজা-রাজড়ার লড়াইকে যদি ইতিহাসের একমাত্র উপাদান বলে স্বীকার না করা যায় তবে নিঃসন্দেহ যে সব সামাজিক উপন্যাস কালের কুক্ষিগত হয়ে আজও টিকে আছে তাদের এই অর্থে ঐতিহাসিক উপন্যাস বলে গ্রহণ করা উচিত। ঐতিহাসিক উপন্যাস আর কিছুই নয়, কোন বিগত কাল-বিশেষকে বর্তমান বলে উপলব্ধি করে তার তথ্যনিষ্ঠ চিত্রশ মাত্র। অন্ততঃ ঐ নীতিটিই লেখক অনুসরণ করেছে বর্তমান কাহিনীতে। 
 কাহিনীর রচনা-নীতি সম্বন্ধে বলা হ’লএবারে কাহিনীর বস্তু। সিপাহী বিদ্রোহের একটি ঘটনা কাহিনীর বস্তু। সিপাহী বিদ্রোহের প্রকৃতি নিয়ে ঐতিহাসিক ও রাজনীতিকগণের মধ্যে মতভেদ আছে। ব্যাপারটা নব্যযুগের প্রথম সিংহনাদ বা মধ্যযুগের অন্তিম আর্তনাদ এ নিয়ে ঐতিহাসিক ও রাজনীতিকগণ তর্ক করুন। শিল্পী এ বিষয়ে কোনপক্ষে মতপ্রকাশ করতে বাধ্য নয়। তার যদি কোন সিদ্ধান্ত থাকে তবে ইতিহাস-জিজ্ঞাসুরূপে আছে, শিল্পের সঙ্গে তার সম্বন্ধ অনিবার্য নয়। শিল্পীর চোখ দেখছে যে সিপাহী বিদ্রোহ (বা যুদ্ধ) উপলক্ষে হিন্দুস্থানে একটা বিরাট ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছিল আর ভার ফলে তারই মধ্যে নিক্ষিপ্ত অগণিত নরনারী দুঃখ বেদনা আতিতে ক্ষণে ক্ষণে হাহাকার করে উঠেছে। এই হাহাকারটাই শিল্পীর বস্তু। রাজায় রাজায় চলছিল যুদ্ধ, উলুখড়ের বনে চলছিল বিপর্যয়ই বিপর্যয়টাই বিদীর বস্তু। শিল্পীর দায়িত্ব ইতিহাস বা মতবাদের কাছে নয়-মানবজীবনের নানারঙের ডােরাকাটা ঐ ছবিখানার কাছে। শিল্পীর স্থান রাজা-রাজড়ার পকে নয়, শিল্পীর স্থান আন্দোলিত, বিমদিত, বিপর্যস্ত উলুখড়ের পক্ষে। তার একমাত্র যায়িত্ব তাদের জীবন-কাহিনী অঙ্কন। তা নয় মত নয়, চিত্র ও গল্প তার একমাত্র লক্ষ্য। বর্তমান লেখক অথাসাধ্য চেষ্টা করেছে একখানি চিত্র 
ন করতে, একটি গল্প বলতে, সিপাহী বা কোম্পানী-কোন পক্ষক্ত না হতেই চেষ্টা করেছে। 
বর্তমান কাহিনীর নায়ক-নায়িকাগণ সকলেই নিতান্ত সাধারণ মানুষ। জীবনলাল, (প্রসঙ্গত বলে রাখি সিপাহী বিশ্লোহের ইতিহাসে ভায়ারী লেখক মূলী জীবনৱাল আর এই নায়ক জীবনলাল আলাদা লােক) পায়, তুলসী, রুমালী, খুরশিদজান, স্বরূপরাম, সব মিঞা প্রভৃতি সকলেই সাধারণ ব্যক্তি, কেবল দুঃখভােগের মহিমাতেই তারা অসাধারণ। তারা সকলেই অসহায় ভাবে নিক্ষিপ্ত হয়েছিল হিন্দুস্থানব্যাপী ঘূণিপাকের মধ্যে সেই কাহিনীই বর্তমান গ্রন্থ। ঐতিহাসিক উপন্যাসে ঐতিহাসিক ব্যক্তি থাকে, এ গ্রন্থেও আছে। বাদশা বাহাদুর শা, বেগম জিনমহল, জেনারেল আচঁডেল উইলসন, জেনারেল নিকলসন প্রভৃতি অনেকেই ঐতিহাসিক ব্যক্তি। কাহিনীর খাতিরে ঐতিহাসিক চরিত্রের আকৃতি বা রঙ বদলানাে উচিত নয়। তথ্য সম্বন্ধেও সেই কথা। “Facts are sacred’ কোন সুপরিজ্ঞাত তথ্যের বিকৃতিসাধন অনুচিত। তবে চরিত্র ও তথথ্যর প্রবণতা বা তাৎপর্য সম্বন্ধে লেখকের স্বাধীনতা অবশ্যই আছে। বস্তুত এই রকম স্বাধীনতা আছে বলেই ঐতিহাসিক উপন্যাস রচনা সম্ভব। ইতিহাসের কাঠোমো অবিকৃত রেখে তার মধ্যে কাহিনীর আরােপের কতিত্বের উপরে ঐতিহাসিক উপন্যাসের সার্থকতা নির্ভর করে। সে কৃতিত্বের দাবী বর্তমান লেখক করে না, তবে তার গাৰী এই যে, সুপরিজ্ঞাত কোন চরিত্রের বা তথ্যের বিকৃতিসাধন তার দ্বায় হয় নি। প্রয়োজনও হয় নি, কেন না করার চেয়ে ঘটনার অলস অনেক বেশি। মানুষের চেয়ে অনেক উচুদরের কারিগর ইতিহাস। 
ঐতিহাসিক উপন্যাসকে সংক্ষেপে রোমান্স বলে লঘু করে দেওয়ার প্রবণতা কোন কোন মহলের আছে। ঐতিহাসিক উপন্যাস হলেই মনে হবে এমন কথা নেই। দুর্গেশনন্দিনী রােমান্স হতে পারে, তাই মনে চলখেয়, রাজসিই এবং ওয়ার এ পীণ নিচ জােগান নয়। এর উপন্যাসে জীবনের একটি সম্পূর্ণ ধারণা প্রকাশের চেষ্টা আছে। ঐশী ধারণার অস্তিত্বের ফলেই এসব উপন্যাস রােমান্সের চেয়ে মহাতর পদবীতে 
উন্নীত হয়েছে। বর্তমান উপন্যাস সম্বন্ধে কোন মহার্ঘতার দাবী লেখকের * মনে নেই, তৎসত্বেও খুব সম্ভব একটি জীবন-ধারণা প্রকাশিত হয়েছে কাহিনীটিতে। সে আর কিছুই নয়, মধ্যযুগের খােলস ভেঙে নব্য ভারতের 
গরুড়ের আত্মপ্রকাশ। অষ্টাদশ শতকে আরম্ভ হয়েছিল এই প্রক্রিয়াটি। নাদির শা, আহমদ শা আবদালি ও ক্লাইভ আঘাত করেছে জীৰ খােলসার উপরে। উনবিংশ শতকে বাংলাদেশে এই প্রক্রিয়া অন্যরূপে দেখা দিয়েছে, ইংরেজি শিক্ষার প্রসার তন্মধ্যে প্রধান। সিপাহী বিদ্রোহ এই খােলসের উপরে চূড়ান্ত শেষ আঘাত। খােলস বিদীর্ণ হয়ে পড়ে গিয়ে নব্য ভারত “মহৎ ক্ষুধার আবেশ” নিয়ে আবির্ভূত হয়েছে, তার অগ্নিময় পক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে পুবে পশ্চিমে, চন্দ্রলােক থেকে সুধা আহরণ করে আনবার জন্যে লে উদ্যত। এ কাহিনী মহাকবিদের লেখনীর যােগ্য। বলা বাহুল্য যে শক্তি থেকে লেখক বঞ্চিত। তৎসত্বেও এই কাহিনীর অসম্পূর্ণ খসড়া আঁকতে চেষ্টা করেছে সে, কেরী সাহেবের মুন্সী উপন্যাস সেই চেষ্টারই আর একটি অসম্পূর্ণ উদাহরণ। 
অবশেষে আর দু'একটি কথা বললেই ভূমিকার পরিসমাপ্তি ঘটে। কাহিনীর অধিকাংশ পাত্রপাত্রী তরুণ কেন, মন্তব্য করেছেন অনেক পাঠক। অবশ্য প্রবীণ ব্যক্তিও অনেক আছেন কাহিনীতে-তৎসত্ত্বেও বীকার করতে হয় (জীবনলাল, গুরবচন সিং, তুলসী, পান্না, রুমালী, খুরশিদজান, সরাব মিঞা প্রভৃতি তরুণ আর কাহিনীটি মােটের উপর তাদেরই নিয়ে। যুদ্ধ বিদ্রোহ স্বভাবতই তরুণদের প্রশস্ত কর্মক্ষেত্র, তখন প্রবীণরা পিছিয়ে প'কে যায়। কাজেই তরুণের সংখ্যাধিক্য অপ্রত্যাশিত কিছু নয়। তবে এই সৰ তরুণকে বিচারের সময়ে লক্ষ্য রাখতে হবে তারা তৎকালীন ইতিহাসের সম্ভাবনাজাত পাত্রপাত্রী কিনা, লক্ষ্য রাখতে হবে যুগবহ্নিতে যে হবিনিক্ষিপ্ত হয়েছিল তা থেকে দ্রৌপদী ও ধৃষ্টদ্যুয়ের মতো এই সব পাত্রপাত্রী জয়লভি করেছে কি না। লেখকের ধারণা তাই। এক্ষেত্রে সংখ্যার এগ অবান্তর। 
কোন কোন পাঠক প্রশ্ন করেছেন যে তােপের মুখে বেধে আসামীকে উড়িয়ে দেওয়ার বর্ণনায় লেখক বাড়াবাড়ি করেছেন। ইতিহাসের পাঠক মাত্রেই জানেন যে সিপাহী বিদ্রোহের সময়ে এইভাবেই আসামীকে প্রাণ দেওয়া হত। আগেই বলেছি, আর একবার বলা যেতে পারে যে, ইতিহাসের কাঠামাে ও ঘটনা সম্বন্ধে আমি নিষ্ঠাবান হ’তে চেষ্টা করেছি, অবশ্য গল্পটা বানাতে হয়েছে। তবে গল্পের খাতিরেও এমন কোন মানুষ বা ঘটনার অবতারণা করি নি বা সেকালে সম্ভব ছিল না। 
কাহিনীতে ব্যবহৃত হিন্দিগানের অনেকগুলি, সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত বিজয় 
কুমার চট্টোপাধ্যায়ের সৌজন্যে পেয়েছি, তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। কাহিনীটিকে প্রকাশের সুযোেগ দিয়েছিলেন বলে দেশ পত্রিকার কতৃ পক্ষকে কত জ্ঞাপন করছি। অলমতি। 
২১-২-৬৪ 
কাহিনী রচনার ১লা মার্চ, ১৯৪২ 
কাহিনী রচনা-সমাপ্তি 
ডিসেম্বর, ১৯৬৩

প্রমথনাথ বিশী এর pdf book লাল কেল্লা  pdf download করুন এখান থেকে। এছাড়াও সকল লেখকদের তালিকা একনজরে দেখুন এখানে। boierpathshala.blogspot.com বই পড়ার প্রতি আগ্রহ তৈরিই করার লক্ষ্যে নেটে পাওয়া কিছু pdf শেয়ার করে। ডাউনলোড লিংকে কোন সমস্যা হলে বা ডাউনলোড লিংক ডেড হলে ফেসবুক পেজে মেসেজ করুন। লিংক আপডেট করে দেব।


This post first appeared on Bangla Pdf, please read the originial post: here

Share the post

লাল কেল্লা - প্রমথনাথ বিশী Lal Kella pdf by Pramathanath Bishi

×

Subscribe to Bangla Pdf

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×