Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

বাবাকে নিয়ে কবিতা – Poem on Father in Bengali

বাবা, দুটো অক্ষরের নাম জেতার মানে এক বিশাল সমুদ্র বা তার থেকেও বেশি। তবে আমরা কিন্তু বেশিরভাগ মানুষরাই বাবার থেকে মায়ের স্থানটাই আগে রাখি। মৌখিক কথা প্রচলিত ভাবে অনেক জায়গায় অনেকের মুখে সোনা যায় হয়তো আপনিও শুনে থাকবেন যে ছেলেরা একটু মা ভক্ত আর মেয়েরা একটু বাবা ভক্ত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রত্যেক সন্তান তার বাবা আর মাকে ভীষণ ভালোবাসে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে বেশ কিছু আমার চোখের সামনে দেখা যে মেয়েরা একটু বাবা বাবা বেশি করে আর ছেলেরা একটু মা মা বেশি করে। বাবা এমন একটা শব্দও যে এর ব্যাপারে বলাটা বা লেখাটাই আমার ভাষা নেই, বা আমি লিখবো তো কি লিখবো আর কি না লিখবো সেটাই ভাবজী। আমাদের জীবনে যাদের বাবা আর মা আছেন আমরা তারা অনেকটাই ভাগ্যবান বলে মনে করি আর এমন বহু মানুষ আছেন যাদের জীবনে এই মুহূর্তে বাবা নেই বা অনেকের থেকেও নেই তাদের কথাটাও মাঝে মাঝে মনে হয়  যে সাক্ষাৎ ভগবান কোনো ছেড়ে চলে যায় সময়ের আগে। আবার ভাবি যে হয়তো উনি ঐটুকু কাজের জন্যই পৃথিবীতে জন্মে ছিলেন। বাবা যেমনি হোকনা কেন সে একজন শুধু বাবা। কিন্তু আমরা বেশির ভাগ মা কে নিয়েই মেতে থাকি। হ্যা একথা সত্যি যে মায়ের স্থান পৃথিবীতে কেউ নিতে পারবে না এমনকি বাবাও না। কিন্তু আমরা বাবারও একটা অংশ। বাবাকে নিয়ে তেমন ভাবে বলার মতন কিছু নেই। বাবাকে নিয়ে কিছু কবিতা নিচে দেওয়া হল যেটাকে পড়লে এমনি যখন তখন বাবাকে এই কবিতার মাধ্যমে বাবাকে বেশ কিছুটা আনন্দ দিতে পারবেন একটু অন্য স্বাদে।

বাবাকে নিয়ে ছড়া – আমার বাবা কবিতা

1.বাবরের মতো পিতৃস্নেহে
কতরাত তুমি জেগেছ শিয়রে
দেখেছি তোমার উদ্বিগ্ন আঁখি
চোখ মেলে নির্ঘুম রাতে।
বাদুর ডানার মতো-
সারারাত দোলে তালপাখা টা
তোমার পুণ্য হাতে।আশৈশব আজো নিঃশ্বাসে
তোমার দেহের ঘ্রাণ।
শ্যামল মায়াবী আঁচলে বেধেছ
সারাটা জীবন।
অসীম মমতায় ছড়িয়েছ জ্ঞান
জাত-পাত ভুলে অনন্তকাল।তোমার সেলফে সাজান আজো
গুলিস্তাঁ-বোস্তা।
হাফিজের বাণী, সাদি-জামি হয়ে
পথখুঁজে নেয় বুলবুলি পাখা।
তুমিই শোনালে পরম আদরে
অমর পঙতিমালা-“আগার আ-তুর্কে সিরাজী
বদাস্ত আয়াদ দেলেমারা।
বখালে হিন্দুহাস বখসাম
সমরকন্দো-বোখারারা”।অমরাবতীর যাচিনা জীবন
তোমার আশিস শিরে লভি যেন।
আজো ভালোবাসি, বড় ভালোবাসি
গুরুজী তোমায়।
দুঃখ যদি পাও কোনদিন
ক্ষমিও অধমে, ক্ষমিও আমায়।

2.ঘন্টার শব্দে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলি,

আনন্দে নেছে ওঠে আমার এই মন!
কে এসেছে জানো? শোন তবে তাই বলি!
‘আমার বাবা’! যে আমার খুব আপন!
হেসে বলে, ‘খোকা! এত রাতে তুই এলি?
ঘুমাস নি? দুষ্টূ হয়েছিস তো দারূণ!’
বাবা চান আমি যেন ভাল হয়ে চলি,
আমিই যে তার যত চিন্তার কারণ!আবার বেজে ওঠে সেই ঘন্টা নিষ্ঠুর-
আজ কেন এ পা কিছুতেই চলছেনা?
হৃদয় আমার আজ হয়েছে পান্ডুর-
কালো রাতটা কেন পার হয়ে যায়না?
শুভ্র বসনে শুয়ে আছে বাবা, নিথর!
শত ডাকলেও বাবা আর আসবেনা।
3.বাবা,আজ ঈদ-তোমাকে আজ বড় বেশি মনে পড়ছে !
এই যে,তোমার আদরের নাতি জিসান,
ছোট্টবেলায় যাকে তুমি পিঠে চড়িয়ে
ঘোড়া সেজে ঘুরে বেড়াতে আর
ও,ওর ছোট্ট হাতে একটা বেত নিয়ে
হ্যাট হ্যাট করে পর-মুহূর্তে তোমার
গলা জড়িয়ে হেসে কুটি কুটি হতো;
সে এখন একুশ বছরের টগবগে যুবক,
তার এখন যুদ্ধে যাবার সময়,বাবা !
তোমার বংশের প্রথম নাতনী সিলভিয়া,
ও এখন পুরোদস্তুর মহিলা ডাক্তার !
আর তোমার জামাই,যাকে তুমি
এক্কেবারে ছেলেমানুষ ভেবে,স্নেহে আদরে
ভরিয়ে রাখতে,সে যে আজ কত দায়িত্ববান
বাড়ির কর্তা,তোমার মত সবদিকে চোখ !
ওরা পাজামা-পাঞ্জাবী,টুপি পরে;
হাতে জায়নামায নিয়ে ঈদগাহে যাচ্ছে,
আমার যে ওদের যেতে ভারী ইচ্ছে
হচ্ছে বাবা,লজ্জায় বলতে পারছি না !যেমনি করে সকালে গোসল সেরে,নতুন জামা
পরে,তোমার আঙ্গুল ধরে নামাযে যেতাম !
জামাতে সবাই সেজদায় গেলে,আমি
মাথা তুলে সফেদ জন-সমুদ্র দেখতাম !
নামাযের পর সবার কী যে কোলাকুলি আর
এ বাড়ি,ও বাড়ি ঘুরে ঘুরে সালাম আর সালামী,
খেয়ে দেয়ে বেড়ানো আর বেড়ানো !
বাবা,সেই দৃশ্যটা যে প্রতিবছর আমার
চোখের সামনে ফিরে ফিরে এসে দাঁড়ায়
আর আমার দু’চোখ ভিজিয়ে দিয়ে যায় !
4.আমার হাতের আঙুল;
u turn নিয়ে ফিরে যেত চাই,
আমার শৈশবে।যখন আমার শিশু আঙুল
বাবার শক্ত আঙুল আঁকড়ে ধরে
পথ হাঁটত অবাক পৃথিবীর পথে।বাবা, আজ আমি প্রমত্ত পুরুষ
পিছনে ফেলে এসেছি আমার শৈশব
অবাক পৃথিবী আজ আর অবাক নয় আমার কাছে।তোমার দেখান পৃথিবী
পালটে গিয়ে আজ এক অন্য পৃথিবী।
পালটে যাওয়া এ পৃথিবীতে,
অসহায় আমি।
প্রচণ্ড অভাববোধে ভুগি, তোমার শক্ত আঙুলের।ইচ্ছে হয় দৌড়ে ফিরে যায় সেই শৈশবে
তোমার আঙুল ধরে মুখ তুলে বলি;
বাবা,ও বাবা।

5.আমি হিমালয় দেখিনি
শুনেছি সেখানে নাকি এভারেস্ট নামের
পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ
দাঁড়িয়ে আছে মাথা উঁচু করে!
কিন্তু আমি দেখেছি আমার বাবাকে
যিনি তার অক্ষম সন্তানদের
বিশাল বটবৃক্ষের মত মাথা উঁচু করে
দাঁড়িয়ে থেকে ছায়া দেন অবিরাম।

আমি প্রশান্ত মহাসাগরের নীল জলরাশি দেখিনি
কখনো মাপতে যাইনি এর গভীরতাও,
কিন্তু দেখেছি আমার বাবাকে
যার হৃদয় এতটাই গভীর যে
তার অবুঝ সন্তানেরা এই গভীরতায়
যেভাবে ইচ্ছে বিচরণ করতে পারি
সামুদ্রিক প্রাণীকুলের মত।

6.আদর-সোহাগ আর ভালোবাসার পরশে
জড়িয়ে রেখেছো তুমি স্নেহের বাধনে,
এলেম শিক্ষা, ধর্মভীরুতা সততায়
গুরুজনদের সম্মান করা, সামাজিকতা শিক্ষা দাও।
নিয়ম-নীতি মেনে চরিত্র গঠনের পথ দেখাও
লেখাপড়া, খেলাধুলায় উৎসাহ যোগাও,
বন্ধু বেশে সাহায্যের হাত বাড়াও
জীবনকে ভালোবাসার বাহুডোরে সাজাও।
তোমার আদর্শ ব্যক্তিত্বে খুঁজে পাই
জীবনে বাঁচার স্বাদ, চলার পথ,
বাবা তুমি মিশে আছো
সব সন্তানের হৃদয়েরও গভীর হতে গভীরে,
জীবনে নির্ভরতায় তোমার ছায়াতলে থাকি
শরীরে আঘাত পেলে বাবা বলে ডাকি।

7. বাব মন পড়ে তোমাকে
যখন দেখি কোন বাব তার ছেলেকে
বুক জড়িয়ে আদর করে ।
বাবা খুব বেশি মনে পড়ে তোমাকে
দু:খ , সুখ আর অসহায়ত্বরে সময়ে
তখন কাঁদি একা নীরবে ।
বাবা তোমার মত বন্ধু এখন পাইনা খুঁজে
আনন্দ কি্বা বিপদে ,
কউে দেয়না কোন উপদশে তোমার মত করে
বলনো , ভয় নইে আছি পাশে,এগিয়ে চল সম্মুখে ।
কউে করনও আদর , দেয়না মাথায় হাত বুলিয়ে ।

8. আমি যখন এসেছি ধরণীতে
তুমি চলে গেলে অজানাতে।
তোমার আমার পথ হল ভিন্ন
কেন হলে মোর থেকে ছিন্ন ?
আমার জন্ম পথে
তোমার অভাব এল কষ্ট
হয়ে, মোর জীবনের সাথে।
শৈশব থেকে কৈশোর
তৃষ্ণায় ছিলাম, শুনতে
বাবার অকৃত্রিম সুর।
চিত্ত থেকে হয়েও সিন্ধু
বাবার অভাব রইল
মোর জীবনে শুধু।
কেটে গিয়ে অনেক সময়
এসেছে আজ যৌবন,
তবুও তোমার দ্রূতিময়
মুখখানা দেখি নাই
অভাগার এই জীবন।
কেটে যায় দিন
কেটে যায় রাত
দেখা হয়না বাবার সাথে,
তবুও মনে জাগে
বাবাকে দেখার বড় স্বাদ।

9.তুমি চলে গেলে তাই
তোমার শূন্য আসনে
দিন কাটে আমার একলায়।
তোমার আসনে কেহ
আমাকে করে না স্নেহ,
তুমি ছাড়া জগতে কষ্ট
জীবনটা আমার ভ্রষ্ট।
তুমি ছাড়া আমি একলায়
তোমার জন্য কাঁধে
মন নির্জন নিরালায়।
এই জগত সংসারে
আমায় একা পেলে
কেন তুমি দুরে ?
থাকতে যদি মোর পাশে
তোমার কোল জুড়ে
থাকতাম আমি
তোমার পবিত্র বুকে।
দুই চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে
বাবার তোমার তরে,
কেমন তোমার স্নেহ
কেমন তোমার আদর
পেতে চাই আমার এই অন্তর।
তোমার আমার চিত্তে
দুরত্ব আজ অসীম বৃত্তে,
প্রতিক্ষণে আমার এই মন
হাতছানি দিয়ে ডাকছে
বাবা তুমি আসবে কখন ?
তোমার পথ চেয়ে
আমি তো আছি বসে,
তুমি আসলে এই
বুঝি আমার পাশে।
দুটি হাত করি জোড়
তুমি ফিরে আস
এক বার কাছে মোর।
10.বাবা মন পড়ে,খুব বেশি মনে পড়ে
বুকরে খুব কাছ থেকে
বাবা, আছ তুমি বুকরে মধ্যখানে ।প্রশ্ন করলে বলে মা , তুমি আছ আকাশে তারার দেশে
ঘুমিয়ে পড়লে আসবে তুমি , চুপচিুপ শিয়রে ।
বাবা কতবার ডেকেছি তোমায় তারার পানে তাকিয়ে
খুঁজে পাইনি , দাওনি সাড়া-রাখ কনে দূরে সরিয়ে । বাবা, একবার এস নাও বুকে জড়িয়ে
কর আদর মাথায় হাত বুলিয়ে ।

শেষ কথা 

বন্ধুরা বাবাকে নিয়ে শেষ কথা বলতে যেটা সবার কাছে বলার সেটা হল বাবাকে একটু ভালোবেসো। হ্যা আমি জানি তোমরা সবাইকে বাবাকে ভালোবাসো  আছো যা আছেন যারা বাবার কষ্টটা বোঝেই না বা বুঝতে চায় না। আমিও নিজে বাবার সাথে মাঝে মাঝে চিল্লিয়ে কথা বলে ফেলি তার পর খুব কষ্ট হয় জানতো। কিন্তু তার পর আর আমি কিছুই বলতে পারিনা  পরে আবার ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু সারাটা জীবন নিজের ভালো মন্দ বিচার না করে যে সব সময় আমাদের কথা ভেবে নিজের ইচ্ছেকে বলি দিয়ে আমাদের মানে বাবা তার সন্তানদের ইচ্ছে পূরণ করে বা পূরণ করার চেষ্টা করে থাকে। যারা যারা বাবাকে নিয়ে কোনো রকম সমস্যা আছে আজি মিতে নিয়ে বুকে টেনে নাও দেখবে অনেকটা শান্তি পাবে আর অনেকটাই আনন্দ পাবে আর তুমি ভালোও থাকবে। বুকে টেনে নিয়ে একবার বলই না যে বাবা আমি তোমায় খুউব ভালোবাসি I love you baba .

The post বাবাকে নিয়ে কবিতা – Poem on Father in Bengali appeared first on Chalo Kolkata.



This post first appeared on Chalo Kolkata, please read the originial post: here

Share the post

বাবাকে নিয়ে কবিতা – Poem on Father in Bengali

×

Subscribe to Chalo Kolkata

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×