Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

হানারচরে ২০ জনের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক ভাতার টাকা আত্মসাৎ

চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা ও অন্ধ নারীসহ ২০ জনের ভাতার প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক টাকা ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তার সাথে যোগসাজসে আত্মসাৎ করলেন সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ ইউপি সদস্যরা।

৬ আগস্ট শনিবার দুপুরে ইউনিয়নের হরিণা বাজারে এজেন্ট ব্যাংক এশিয়ায় এ ঘটনাটি ঘটে।

জানা যায়, শেখ হাসিনার মমতা বয়স্কদের জন্য নিয়মিত ভাতা এ শ্লোগানে সমাজসেবা অধিদফতর সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মাধ্যমে সারাদেশে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হয়। ভাতাভোগীদের বছরে ২ বার ভাতা প্রদান করা হবে। সরকার নির্ধারিত ৬ হাজার ১ টাকা ভাতার টাকা ধার্য্য করা হলেও চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে মুক্তিযোদ্ধা, অন্ধ নারীসহ ২০ জনের কাউকে ৩ হাজার ও কাউকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা প্রদান করেন। এজেন্ট ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে সদর উপজেলার সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড অফিসার আবদুল জলিলসহ ইউপি সদস্যরা ভাতাভোগীদের কাছ থেকে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করেন।

টাকা বিতরণকালে হানারচর ইউপি ভাইস চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ, ইউপি সদস্য বাশার, খায়ের, কালু, মহিলা ইউপি সদস্য রাশিদা বেগম ও খুরশিদা বেগম উপস্থিত ছিলেন। এজেন্ট ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম ভাতাভোগীদের বইয়ে ৬ হাজার টাকার সামনে স্বাক্ষর দেন। এজেন্ট ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি সদস্যরা পরিকল্পনা করে ভাতাভোগীদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানান ভূক্তভোগীরা।

বয়স্ক ভাতাভোগী মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান বেপারী জানান, আমার মোবাইলে ৬ হাজার টাকার ম্যাসেজ আসছে। আমার বইয়ে ৬ হাজার টাকার স্বাক্ষর দিয়েছে ব্যাংক কর্মকর্তা। তবে আমি ৪ হাজার ৫ শ টাকা পেয়েছি। আর ৬ হাজার টাকার স্বাক্ষরে একই পরিমান টাকা পেয়েছেন অন্ধ ফরবুলিন্নেছা ও মাফিয়া বেগম।

ভাতাভোগী মাফিয়া বেগম জানান, হারুন ও রাশিদা মেম্বার বলছে প্রতি বইয়ে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা খরচ আছে।

ভাতাভোগী ছালেহা বেগম ও রওশন আলী জানান, তারা দুই জনেই স্বাক্ষর করে পেয়েছেন ৩ হাজার টাকা করে প্রতি বইয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তার ১ হাজার, মেম্বারদের ৫ শত টাকা দিতে হয় বলছে হারুন মেম্বার। শনিবার ব্যাংক বন্ধের দিন। তারা টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই সকলে মিলে বন্ধের দিন ভাতাভোগীদের টাকা প্রদান করেন।

ভাতাভোগী আনামতির স্বামী সলেমান রাঢ়ী জানান, আমি ও আমার স্ত্রী দুপুরে ১২টায় হরিণা বাজার ব্যাংক এশিয়ায় গেলে আমাদেরকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়য়ে দেয়। বাড়িতে আসলে ছেলে মিজান ৬ হাজার টাকার স্থলে ৩ হাজার টাকা আনায় আবার ব্যাংকে পাঠায়। পরে ৬ হাজার টাকার ম্যাসেজ দেখালে বাকি ৩ হাজার টাকা দিয়ে দেয়।

এজেন্ট ব্যাংক এশিয়ার কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানায়, আমি সবগুলো বই একসাথে নিয়ে টাকা ও স্বাক্ষর দিয়ে দিয়েছি। তারা টাকা না পেলে আমার কিছু করার নেই।

মহিলা মেম্বার রাশিদা বেগম জানায়, আমি ভাতাভোগীদের ফিঙ্গার নিয়েছি। টাকার বিষয়টি সমাজসেবা কর্মকর্তা বলতে পারেন।

ইউপি সদস্য কালু জানায়, ৬ হাজার টাকার স্থলে টাকা কম দেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ব্যাংকে আমি সাথে সাথে প্রতিবাদ করেছি। ঘটনা সত্য।

ভাইস চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ জানায়, আমি শেষ মুহুতে ব্যাংকে গেছি। আমি কোন টাকা নেই নাই। সবকিছু সমাজসেবা কর্মকর্তা জানেন।

হানারচর ইউনিয়নের ফিল্ড অফিসার আবদুল জলিল জানান, আজকে টাকা বিতরণের কথা ছিল না। ব্যাংক থেকে টাকা দিতে পারবে বলে আমাদেরকে জানান। আমি সকালে চেয়ারম্যান সাহেবকে বিষয়টি জানিয়েছি। টাকা আত্মসাতের বিষয়ে আমি কিছু জানি না, মেম্বাররা জানেন।

ইউপি সচিব ফজলুল হক গাজী জানান, ভাতা বিতরণের বিষয়ে আমাকে কেউ অবগত করে নি।

হানারচর ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্তার রাঢ়ী জানান,
যারা ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের বিষয়ে আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি জানিয়েছি। ভাতা বিতরণের বিষয়টি আমি বা সচিব কেউ অবগত নই।

প্রতিবেদক: মাজহারুল ইসলাম অনিক,৬ আগস্ট ২০২২



This post first appeared on ChandpurTimes, please read the originial post: here

Share the post

হানারচরে ২০ জনের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক ভাতার টাকা আত্মসাৎ

×

Subscribe to Chandpurtimes

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×