এরইমধ্যে পুরো ইউনিট তাঁবু টেনেছে চাঁদপুরে। যেখানে যুক্ত হয়েছেন ছবির প্রধান তিন চরিত্র আফসানা মিমি, চঞ্চল চৌধুরী ও সিয়াম আহমেদ। সঙ্গে রয়েছে এক নবাগতাও। যিনি একটি রিয়েলিটি শো থেকে উঠে এসেছেন বলে জানা গেছে বিশ্বস্ত সূত্রে।
চাঁদপুরের জেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে হরিপুর চৌধুরী বাড়িতে ছবিটির চিত্র ধারণের কাজ শুরু হয়।
সেলিমের প্রথম ছবি ‘মনপুরা’য় ফারহানা মিলি, দ্বিতীয় ছবি ‘স্বপ্নজাল’-এ ইয়াশ রোহানের পর এবারের ছবির অন্যতম উপহার এই নতুন মুখ। মূলত সে কারণেই, বিষয়টি নিয়ে বেশ গোপন থাকছেন সংশ্লিষ্টরা। বলছেন না আগাম কিছুই।
যেখানে চঞ্চলের বিপরীতে দেখা যাবে আফসানা মিমিকে আর সিয়ামের বিপরীতে ওই নবাগতাকে। নবাগতা প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিম শুধু এটুকু জানান, চৌধুরী বাড়িতে ছবিটির প্রায় ৮০ ভাগ দৃশ্যপট রয়েছে। গেলো ২৬ আগস্ট থেকে শ্যুটিং শুরু হয়।
হরিপুর চৌধুরী বাড়ির মুকুট চৌধুরী জানান, `ছবিটির সিংহভাগ দৃশ্যপট আমাদের হরিপুর চৌধুরী বাড়িতে হয়েছে। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরেই চীদপুরের বিভিন্ন লোকেশনে মুভিটির শ্যুট করা হয়েছে। আর ছবিটির একাংশে আমিও অভিনয় করেছি। আর সিনিয়র আর্টিস্ট দের সাথে কাজ করার মাধ্যমে, এই অভিজ্ঞতা সত্যিই আনন্দজনক’।
‘মনপুরা’ ইতিহাসের টানা ১০ বছর পর নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম ও অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী আবার একসঙ্গে সিনেমায় কাজ করছেন ‘পাপ-পুণ্য’র মধ্য দিয়ে। অন্যদিকে টিভি প্রোডাকশনে আফসানা মিমি ও গিয়াস উদ্দিন সেলিম জুটির অসংখ্য জনপ্রিয় কাজ রয়েছে। তবে সিনেমায় তাদের একসঙ্গে উপস্থিতি এবারই প্রথম ঘটছে।
চলচ্চিত্রটিতে অন্যান্য চরিত্রে আরও অভিনয় করছেন মামুনুর রশীদ, ফজলুর রহমান বাবু, গাউসুল আলম শাওন, ফারজানা চুমকি প্রমুখ।
ছবিটি প্রসঙ্গে নির্মাতা সেলিমের ভাষ্য এমন, ‘আগে যে দুটি ছবি বানিয়েছি, এ ছবিটির কনসেপ্ট তার থেকে আলাদা। মানুষের মৌলিক তাড়না নিয়েই চলচ্চিত্রটির কাহিনি। বাকিটা নির্ভর করছে শুটিংয়ের ওপর।’
‘মনপুরা’র পর মাঝের ১০ বছরে গিয়াস উদ্দিন সেলিম মাত্র একটি ছবিই নির্মাণ করেছেন। পরীমনি ও ইয়াশ রোহানকে নিয়ে নির্মিত ‘স্বপ্নজাল’ ছবিটি প্রশংসা কুড়ালেও বাণিজ্যিক বিচারে তেমন এগুতে পারেনি। অন্যদিকে ‘মনপুরা’র মতোই সিনেমা অধ্যায়ে গেল ১০ বছরে ভালোই ভেলকি দেখিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী। যার সর্বশেষ উদাহরণ ‘দেবী’, তারও আগে ‘আয়নাবাজি’।
২০০৯ সালে মুক্তি পায় গিয়াস উদ্দিন সেলিমের প্রথম ছবি ‘মনপুরা’। মুক্তির পর ছবিটি সারা দেশে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করে। টানা অনেক দিন দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শিত হয়। মধ্যে লম্বা বিরতির পর গত বছর এপ্রিলে মুক্তি পায় তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘স্বপ্নজাল’। প্রথমটির মতো বাণিজ্যিক সাফল্য না পেলেও ছবিটি দর্শকের কাছে সমাদৃত হয়। এদিকে মুক্তিযুদ্ধে নৌ–অভিযানের ঘটনা নিয়ে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ছবি তৈরির কথা শোনা গেলেও তার কোনো অগ্রগতির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথম দুটি চলচ্চিত্রে প্রেম আর ভালোবাসার আড়ালে গিয়াস উদ্দিন সেলিম দেখিয়েছেন বাংলার চিরায়ত রূপ, কুসংস্কার, ক্ষমতাবান ও নিপীড়িতের দ্বন্দ্ব ও সাম্প্রদায়িকতা। কেমন হবে তৃতীয়টি? ছবির গল্প এখনই বলতে চান না পরিচালক। শুধু বললেন, ‘মানুষের মৌলিক তাড়নাকেই ফুটিয়ে তুলতে চাই নতুন মোড়কে। আগে যে দুটি ছবি বানিয়েছি, ছবিটি তা থেকে আলাদা হবে।’
চাঁদপুর টাইমস রিপোর্ট, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯
The post চাঁদপুরে চৌধুরী বাড়িতে চলছে সিয়াম চঞ্চল ও মিমির ‘পাপ-পুণ্য’ শ্যুটিং appeared first on Chandpur Times | চাঁদপুর টাইমস.