সৌদি আরব ২০১৪ সালে কাতার দখলের পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছেন কাতারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী¿খালেদ বিন মুহাম্মদ আলআতিয়া। কাতারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ‘কাতার টিভি’তে প্রচারিত আলহাকিকত অনুষ্ঠানে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
Related Articles
প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০১৪ সালে কাতারের নেতৃত্ব পরিবর্তনের জন্য সৌদি আরব সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা করেছিল। তবে তত্কালীন সৌদি বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ পরবর্তীকালে আমির মুহাম্মদ বিন নায়েফকে কাতার-সৌদি সীমান্ত থেকে সব সৈন্য সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দিয়েছিলেন। আমি এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী।’
খালেদ বিন মুহাম্মদ আলআতিয়া আরও বলেন, ‘আমরা বারবার আমাদের ভাইদের কাছ থেকে অন্যায়ের শিকার হয়েছি। অথচ সব সময় আমরা তাদের প্রতি উচ্চ ধারণা পোষণ করেছি। আমরা চেয়েছি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক যেন ন্যায় ও নীতির ভিত্তিতে সুদৃঢ় থাকে।’
গত সপ্তাহে এক আমিরি আদেশে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পাশাপাশি কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আলআতিয়া। কাতারের অত্যন্ত প্রভাবশালী এই মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালের ঘটনারও সাক্ষী আমি। সে সময় কাতারের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ার পর অবরোধকারী দেশগুলোর দুজন সামরিক নেতা পরস্পরকে নিশ্চিত করে বলেছিলেন, চিন্তার কারণ নেই, আবারও সুযোগ আসবে।’
আলআতিয়া জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করি না। কাতারের আমির আমাদের ওপর অনেক আস্থা রাখেন। তিনি তাঁর জাতির প্রতিও আস্থাবান। কাতারের সুরক্ষা দেওয়া আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব।’
কাতারের সেনাবাহিনীকে আঞ্চলিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বাহিনী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, কাতারের সামরিক বাহিনীর প্রস্তুতি ও মানসিক দৃঢ়তা এ অঞ্চলের অন্যান্য বাহিনীর চেয়ে শক্তিশালী। কাতারের সশস্ত্র বাহিনীকে আরও উন্নত করার জন্য আমির নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যে আমরা বেশ কিছু অত্যাধুনিক অবকাঠামোর কাজ শেষ করেছি, আরও কিছু স্থাপনের পর্যায়ে রয়েছে।
কাতারের বিরুদ্ধে চলমান অবরোধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আলোচনার দরজা এখনো খোলা। আমি বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধান আসবে।’
This post first appeared on Amr Bangla - 24/7 Online News Portal, please read the originial post: here