Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন!

বর্তমান পূর্ণ সরকারের মেয়াদ শেষ হতে বাকি আর মাত্র ১২ মাস। আগামী বছর ৩১ অক্টোবর থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়ে যাবে। এ অবস্থায় সরকারি মহলে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। সরকার সবুজ সংকেত দিলে আগামী বছর ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ২৭ ডিসেম্বরকে ভোট গ্রহণের দিন হিসেবেও বেছে নেয়া হতে পারে। তফসিল ঘোষণা হতে পারে নভেম্বরে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ক্ষমতাসীনদের মতে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেই নির্বাচনকালীন সরকার থাকবে। সে ক্ষেত্রে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান। এ সরকারে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভূমিকা কী হবে, তা নিশ্চিত করে বলা না গেলেও দলটি যে এবার নির্বাচনের বাইরে থাকবে না তা নিজেরাই বলছে।

সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ দিন অর্থাৎ আগামী বছরের ৩১ অক্টোবর থেকে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একই বছরের ২৯ জানুয়ারি নির্বাচিত সদস্যরা সংসদের প্রথম অধিবেশনে বসেছিলেন। এদিন থেকেই সংসদের ৫ বছরের মেয়াদ শুরু হয়েছে। যা শেষ হবে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারি। কিন্তু সংবিধানের ১২৩(৩) অনুচ্ছেদে বলা আছে, সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে (ক) ‘মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে।’

সে কারণে ২০১৯ সালের ২৮ জানুয়ারির আগের ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে হবে। ভোট গ্রহণের পর ঘোষিত ফলের গেজেট প্রকাশসহ কিছু কাজ থাকে। এ ছাড়া কিছু কেন্দ্রে ভোট স্থগিত হলে সেগুলোও মেয়াদের মধ্যেই শেষ করতে হয়। এ জন্য নির্ধারিত ৯০ দিন শেষ হওয়ার আগেই ভোটের সময় নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের শেষ দিকের যে কোনো দিন ভোটের সম্ভাবনাই বেশি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত মঙ্গলবার ঢাকায় মহানগর আওয়ামী লীগের এক অনুষ্ঠানে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে। বিজয়ের মাসে আমরা আর একটি বিজয় লাভ করতে চাই। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’

সংশ্লিষ্টরা বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আগামী বছর ৩১ অক্টোবর থেকে নির্বাচনী ক্ষণগণনা (কাউন্টডাউন) শুরু হবে। এদিকে নির্বাচন সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা তৈরির কাজ। দুই দলই সাংগঠনিকভাবেও প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রার্থী বাছাইয়ে চলছে জরিপ কার্যক্রম। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যেও নির্বাচনী আবহ বইতে শুরু করেছে। শহর, গ্রাম, পাড়া, মহল্লা সর্বত্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি সব দলের অংশগ্রহণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েও রয়েছে উৎকণ্ঠা।

পর্যবেক্ষক মহলের মতে, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সমঝোতার। সব দল অংশ না নিলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। কারণ বিএনপিসহ কয়েকটি দলের বর্জনের মুখে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন অনেকেই গ্রহণ করেনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও মনে করে এ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবেই। গতবার যে ভুল তারা করেছে এবার কোনোভাবেই সে ভুল তারা করবে না। তাই তীব্র নির্বাচনী লড়াইয়ের আশঙ্কাও তারা করছেন।



This post first appeared on Amr Bangla - 24/7 Online News Portal, please read the originial post: here

Share the post

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন!

×

Subscribe to Amr Bangla - 24/7 Online News Portal

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×