আধ্যাত্মিক ঋষি, জনহিতৈষী, বহুমুখী গায়ক, চৌকস ক্রীড়াবিদ, চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, শিল্প নির্দেশক, সংগীত পরিচালক, লেখক, গীতিকার, জীবনীকার…। ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে এই পরিচয় ভারতের স্বঘোষিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের। অ্যাকাউন্টে আবার নামের আগে ড. উপাধিও উল্লেখ করা। একদিকে সিনেমার হিরো, দলিত সম্প্রদায়ের মানুষকে ‘ইনসান’-এর মর্যাদা দেওয়া, রাজনৈতিক ক্ষমতা আর পেশীশক্তি – এই সব কিছুর মিশেলেই প্রায় আড়াই দশক ধরে গড়ে উঠেছে গুরমিত রাম রহিম সিং-এর ভক্তকুল। নিজের দুই নারী শিষ্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ২০ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে হরিয়ানার কারাগারে বন্দি রয়েছেন ভারতের এই আলোচিত ধর্মগুরু।
Related Articles
গুরমিত সিংহ রাম রহিমের ছিল ধর্ষণ চেম্বার। এর নাম বাবা কি গুফা (বাবার গুহা)। বিলাসবহুল আসবাব, রঙ-বেরঙের পর্দায় সাজানো সেই প্রাসাদেই তিনি বসবাস করেন। গুফায় তাকে ঘিরে থাকেন ২০০ জনেরও বেশি বাছাই করা শিষ্য। তাদের চুল খোলা। পরনে সাদা রঙের পোশাক।
এমনই দুই শিষ্যকে ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন বাবা রাম রহিম। যত কাণ্ড রাম রহিমের ডেরায়। কীর্তির শেষ নেই ভণ্ড বাবার। নিত্যনতুন তথ্য সামনে এসেই চলেছে। এবার মুখ খুললেন ডেরার আর এক সাধ্বী। নির্যাতিতা সেই নারী জানিয়েছেন, কী ভাবে বাবার যৌন লালসা থেকে বাঁচতে পিরিয়ড হওয়ার অভিনয় করতেন তারা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, রকস্টার বাবা প্রতিদিন রাত ১১টার সময়ে তার শয়নকক্ষে ডেকে পাঠাত যে কোনো একজন সাধ্বীকে।
ওই সাধ্বী বলেন, ধর্ষণ থেকে বাঁচতে পিরিয়ড হওয়ার অভিনয় করতাম। প্রথম যেদিন রাতের বেলা ডেরায় ঢোকার ডাক পান, সেদিনই বুঝতে পারি বাবার আসল উদ্দেশ্য। বাবা সেই সময়ে আয়েশ করে বিছানায় শুয়ে শুয়ে পর্ন ছবি দেখছিল। ঘরে ঢুকতে দেখে বাবা ইশারা করে বিছানায় বসতে বলে তাকে। তখনই চটজলদি বুদ্ধি করে বলি, আমার পিরিয়ডস শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় তার পক্ষে রাম রহিমের কাছে আসা সম্ভব নয়।
পরে তিনি দেখেন, তার মতো আরও অনেকেই পিরিয়ড হওয়ার অভিনয় করে বাবার ডাক এড়াচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ধর্ষক বাবার প্রতি রাতে সাধ্বীদের সঙ্গে যৌন ক্রিয়াকলাপকে বাবার মাফি বলে বর্ণনা করতেন ডেরার বাসিন্দারা। প্রায় পাঁচ কোটি ভক্তের এই বাবা নিজেকে ঈশ্বর প্রেরিত দূত বলে ঘোষণা করেছিল।
This post first appeared on Amr Bangla - 24/7 Online News Portal, please read the originial post: here