Get Even More Visitors To Your Blog, Upgrade To A Business Listing >>

রাখি বন্ধন কবিতা – Rakhi Bandhan in Bengalii

বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি সকলেই ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি এমন একটা সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবো যা পৃথিবীর সব জায়গার সব ক্ষেত্রে পবিত্র বলে আমরা মনে করি। আর সেটা হল আমাদের ভাই আর বোনের সম্পর্ক। আর আমাদের বারো মাসের তেরো পাবনের মধ্যেও ভাই বোনের জন্য একটা উৎসব পরে যাকে আমরা বলে থাকি রাখি বন্ধন উৎসব। বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে রাখি বন্ধন উৎসব সমস্ত হিন্দু জাতিরাই মানিয়ে থাকে, আর সেটা যে যেখানেই থাকুক না কেনো। তবে যত দিন যাচ্ছে আস্তে আস্তে এই উৎসব কিন্তু ভিন্ন জাতির লোকরাও পালন করছে দেশে ও বিদেশে।

রাখি বন্ধন ভারতীয়দের মধ্যে অন্যতম একটি উৎসব | এর তিন রকম বিষয় আছে | এক রামায়ণে রাম সমস্ত বানর সেনাদের ফুল দিয়ে রাখি বেধে ছিলেন | দুই লক্ষ্মী বলিকে ভাই হিসেবে মেনে রাখি পরিয়েছিল যাতে সে উপহার স্বরূপ বিষ্ণুকে স্বর্গে তার কাছে ফিরে যেতে বলে | তিন সাম্প্রদায়িকতা মেটাতে রবীন্দ্রনাথ জাতি ধর্ম নির্বিশেষে রাখি বন্ধন উৎসব প্রচলন করেন | যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ২ এর নিয়মই পালন করা হয় | এই নিয়মটি যদিও একটি একাধিপত্যের বার্তা বহন করে |এই সম্পর্কে মানুষকে সচেতন হতে হবে | এখন অবশ্য জায়গায় জায়গায় বিভিন্ন ধরনের রাখি উৎসব পালন করা হয় ,সেটা জাতি ধর্ম নির্বিশেষে |

রাখি বন্ধন মানে কি

রাখি বন্ধন কথার মানে হল একটি নির্দিষ্ট দিনে ভাই আর বোনের সম্পর্ক অটুট থাকার জন্য নানান ধরণের রং বেরঙ্গের  ধাগা বা সুতো যাকে আমরা রাখি বলে থাকি সেটা পরিয়ে ভাই বোনের ভালোবাসার বাঁধনের মধ্যে এই উৎসব পালিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় বোন কিংবা দিদি তাদের হাতে পবিত্র সুতো বেঁধে দেন।     আমরা একটু জেনে নেবো এই রাখি বন্ধন উৎসব নিয়ে পৌরাণিক কিছু কথা বা তথ্য।

রক্ষা বন্ধন উৎসবে ভাইবোনের মধ্যকার স্বর্গীয় সম্পর্ক উদযাপন করা হয়। রাখী নামেও পরিচিত এই রক্ষা বন্ধন প্রতি বছর শ্রাবন মাসের পূর্ণিমার দিন পালন করা হয়। বোনেরা তাদের ভাইদের হাতের কব্জিতে সুন্দর সুন্দর পবিত্র সূতা বেঁধে দেয় যা ‘নিরাপত্তা ও রক্ষা বন্ধন’ চিহ্ন হিসেবে প্রকাশিত। তারা তাদের ভাইদের মঙ্গল কামনা করে এবং ভাইয়েরা বোনদের রক্ষা করা প্রতিশ্রুতি প্রদান করে। ঐ দিন পরিবারের সকলে একত্রে মিলিত হয়, বিশেষ খাবার দাবারের ও উপহারের ব্যবস্থা করা হয় এবং সকলে মিলে আনন্দ ফুর্তিতে মেতে ওঠে। এই বিশেষ দিনে পরিবেশে “যম” তত্ত্ব বেশি থাকে, এতে ভাইয়ের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, কিন্তু রাখি বন্ধনের ফলে তা দূর হয়ে যায়।
রাখি বন্ধনের নেপথ্যের ইতিহাস:
সুভদ্রা কৃষ্ণের ছোট বোন, কৃষ্ণ সুভদ্রাকে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তবে আপন বোন না হয়েও দ্রৌপদী ছিলেন কৃষ্ণের অতীব স্নেহভাজন। একদিন সুভদ্রা কিছুটা অভিমান ভরে কৃষ্ণকে প্রশ্ন করলেন এর কারন। উত্তরে কৃষ্ণ বললেন যথা সময়ে এর কারন তুমি বুঝতে পারবে।
এর কিছুদিন পর শ্রীকৃষ্ণের হাত কেটে রক্ত পড়ছিল, তা দেখে সুভদ্রা রক্ত বন্ধের জন্য কাপড় খুঁজছিলেন, কিন্তু মন মত পাতলা সাধারন কাপড় পাচ্ছিলেন না, এর মাঝে দ্রৌপদী সেখানে আসলেন, দেখে বিন্দুমাত্র দেরি না করে সাথে সাথে নিজের মুল্যবান রেশম শাড়ি ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাত বেধে দিলেন, কিছুক্ষন পর রক্তপাত বন্ধ হল। তখন শ্রীকৃষ্ণ বোন সুভদ্রা কে ডেকে বললেন- এখন বুঝতে পেরেছ কেন আমি দ্রৌপদীকে এত স্নেহ করি? সুভদ্রা বুঝতে পারল ভক্তি ও পবিত্র ভালবাসা, শ্রদ্ধা কি জিনিস! দাদা কৃষ্ণের চেয়ে মুল্যবান বস্ত্র নিজের কাছে বেশি প্রিয় এটা ভেবে সুভদ্রা দারুন লজ্জিত হলেন। কোন বোন তার ভাইয়ের কোনোরূপ কষ্ট, অমঙ্গল সহ্য করতে পারে না। ভাইয়ের কষ্ট দুরের জন্য সে সর্বত্তম চেষ্টা করে। অন্যদিকে ভাই ও তার বোন কে পৃথিবীতে সর্বাধিক স্নেহ করে, সারাজীবন তাকে রক্ষা করে থাকে, যেরকম শ্রীকৃষ্ণ দ্রৌপদীকে রাজসভায় চরম কলঙ্ক থেকে রক্ষা করেছিলেন। সকল ভাইবোনের উচিত এই পবিত্র দিনে মনে এরকম ভক্তিভাব ও ভালবাসা বজায় রাখা। কৃত্রিমতা, যান্ত্রিকতার এই বর্তমান যুগে ভাই বোনের মাঝে ভালবাসা ও শ্রদ্ধার বড় অভাব। সনাতন ধর্মে বড় বোন/দিদিকে মাতৃস্থানীয় এবং বড় ভাইকে পিতৃস্থানীয় সম্মান ও ভালবাসা দেয়ার কথা বলা আছে।

রাখি বন্ধন কবিতা(Rakhi Bandhan)

1.ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোটাঁ
যমের দুয়ারে পরলো কাটা,
যমুনা দেয় যমকে ফোটাঁ
আমি দেই আমার ভাইকে ফোটাঁ।।

2.পাগলী বলে ডাকি আমি
আমার ছোট বোন,
মুচকি হেসে আমার দিকে
তাকায় সে তখন ।
খানিক পরে একটু হেসে
বলি আমি তাকে,
একটু খানি জল খাওয়াতে
পারিস নাকি আমাকে।

3.রাখীর বন্ধন নয় তো, শুধু সাত রঙের সুতোর সমাহার,
রাখীর বন্ধন, ভাই বোনের সম্পর্কের অটুট বাঁধনের অঙ্গীকার।

4.রাখীর বন্ধন নয় তো,নতুন ফ্যাশনের ভাষা,
রাখীর বন্ধন হলো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নতুন আশা।

5.রাখীর বন্ধন নয় শুধু, উপহারের বিনিময়,
রাখীর বন্ধন কাছে টানে,সম্পর্কের দূরত্বের হৃদয়।

6.রাখীর বন্ধন হলো ,মিলনের অকৃত্রিম সেতু,
রাখীর বন্ধন হলো,ভাই বোনের সবসময় পাশে থাকবে ,কোনো কারন হেতু।

7.মেঘের ফাঁকে ফাঁকে,সূর্য দেয় উঁকি
ভাইয়ের আগমনে,মনে আসে প্রীতি
রক্ত ও নাড়ির টান ,হৃদয়ের স্পন্দন
যুগ যুগে থেকে যাবে,ভাইয়ের বন্ধন
ছোটবেলার দুস্টুমি আর ফেলে আশা স্মৃতি
কপালে দেব চুয়া-চন্দন,ফুল রাশি রাশি
ভাইয়ের স্নেহ ,বোনের ভালোবাসা।

রাখীর বন্ধন হলো, চাওয়া পাওয়ার আবদার,
রাখীর বাঁধন হলো,দিদি ভাইয়ের ভালোবাসার।

8.রাখীর বন্ধন আনে, পরিবারে খুশির হাওয়া,
রাখীর বন্ধন হলো, দিদির হাতের তৈরি সুস্বাদু খাবার খাওয়া।

9.রাখীর বন্ধন হলো, অনেক দুস্টুমির পর,
কুছ মিঠা হো যায়,
রাখীর বন্ধন হলো, আমার মতো তোকে কে ভালোবাসবে ভাই?

শেষ কথা  

বোন আমাদের এক আত্মসম্মান, বোন আমাদের সবার খুব আদরের, বোন আমাদের চিন্তা মনি। রাখি বন্ধন আমাদের উৎসব আমরা আর কিছু পারি বা না পারি  ওই দিনটি যেন আমাদের সব ভাই বোনদের নিয়ে খুশিতে থাকবো খাবো দাব। খুউব মজা করবো। যার বোন নেই তাদের চিন্তা করবেন না বা মন খারাপ করবেন না। ওই দিনটি কাউকে বোন বানিয়ে ফেলুন। দেখবেন ভালো লাগবে।

The post রাখি বন্ধন কবিতা – Rakhi Bandhan in Bengalii appeared first on Chalo Kolkata.



This post first appeared on Chalo Kolkata, please read the originial post: here

Share the post

রাখি বন্ধন কবিতা – Rakhi Bandhan in Bengalii

×

Subscribe to Chalo Kolkata

Get updates delivered right to your inbox!

Thank you for your subscription

×